পরিযায়ী: কুলিকে পরিযায়ী পাখির দল। ফাইল চিত্র
প্রকল্পের অনুমোদন মিললেও মেলেনি বরাদ্দ। এই পরিস্থিতিতে সরকারি ঘোষণার পরে সাত মাস কেটে গেলেও রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষিনিবাসে প্রাণী সংরক্ষণকেন্দ্র ও প্রজাপতি পার্ক তৈরির কাজ শুরু করতে পারেনি বন দফতর।
বন দফতর সূত্রের খবর, গত বছরের অগস্টে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে পক্ষিনিবাসে প্রাণী সংরক্ষণকেন্দ্র ও প্রজাপতি পার্ক তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এর পর বন দফতরের উত্তর দিনাজপুর বিভাগের তরফে ঘোষিত ওই দুই প্রকল্প তৈরির জন্য সাড়ে চার কোটি টাকার একটি পরিকল্পনা তৈরি করে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই পরিকল্পনায় পক্ষিনিবাস চত্বরে নীলগাই, হরিণ, খরগোস, সাপ, রঙিন মাছ ও কচ্ছপ সংরক্ষণের কথা বলা হয়। কিছু দিনের মধ্যেই দু’টি প্রকল্পের অনুমোদনও মিলে যায়।
উত্তর দিনাজপুরের ডিএফও দ্বীপর্ণ দত্তের দাবি, পক্ষিনিবাসে প্রাণী সংরক্ষণকেন্দ্র ও প্রজাপতি পার্ক তৈরির কাজ শুরু করার জন্য বন দফতর তৈরি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বরাদ্দ না মেলায় সেই কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রতি বছর জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পক্ষিনিবাসে নাইট হেরন, করমোন্যান্ট, ওপেন বিলস্টক-সহ বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি বসবাস করে। ফলে ওই সাত মাস উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা এবং সংলগ্ন বিহারের লক্ষাধিক পর্যটক পরিযায়ী পাখি দেখতে পক্ষিনিবাসে ভিড় করলেও বাকি পাঁচ মাস এখানে বিশেষ ভিড় হয় না। বন দফতরের নথিতে ওই পাঁচ মাস অফ সিজন হিসেবে ধরা হয়।
পিপল ফর অ্যানিম্যালের রায়গঞ্জ শাখার সম্পাদক অজয় সাহা বলেন, প্রাণী সংরক্ষণকেন্দ্র ও প্রজাপতি পার্ক হলে সারা বছরই লোক এখানে আসবে। কিন্তু সাত মাস পরেও ওই প্রকল্পে টাকা বরাদ্দ না হওয়ায় এখন এর ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে।