চোখে জল সরলার। নিজস্ব চিত্র
গত পাঁচ বছর তিনি সভাধিপতি পদেই ছিলেন। এর মধ্যে প্রায় তিন বছর কংগ্রেসের বোর্ডে। এবং সদলবলে তৃণমূলে গিয়ে পরের দু’বছরের বেশি সেই দলের বোর্ডে। এবারও তিনি জিতেছেন। তিনি সরলা মুর্মু। সোমবারসেই সরলাই ‘গদি’ ফিরে না পেয়ে কেঁদে ফেললেন।
তৃণমূলের টিকিটে পুরাতন মালদহের ২৯ নম্বর আসন থেকে ৫২৮০ ভোটের ব্যবধানে জেতেন সরলা। গুঞ্জন ছিল, এবারে পঞ্চায়েত ভোটে জেলায় আদিবাসী মহল্লায় তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে ধস নামায় লোকসভা ভোটের আগে সেই ধস সামাল দিতে তিনিই ফের মসনদে বসতে চলেছেন। কিন্তু এ দিন দল তাঁরই আমলের সহকারী সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডলকে সভাধিপতি পদে বসায়। জানা গিয়েছে, বোর্ড গঠনের সময় পর্যন্ত ঠিকঠাক থাকলেও সভা থেকে বেরিয়েই ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠেন প্রাক্তন সভাধিপতি। দলের কয়েকজন সতীর্থ তাঁকে পাশের ঘরে নিয়ে বসান। কিন্তু সেখানেও তাঁর কান্না থামানো যায়নি। যদিও পরে চেম্বারে গিয়ে নয়া সভাধিপতি গৌরচন্দ্রের সঙ্গে হাত মেলান তিনি। ফুল দিয়ে সংবর্ধনাও জানান। তখনও চোখ তাঁর ছলছলই করছিল। তৃণমূলের একাংশ জানিয়েছেন, এমনিতেই এবার আদিবাসী ভোটব্যাঙ্কে ধস নেমেছে। এবার বিজেপি থেকে শুরু করে বিরোধীরা এই বিষয়টিকে তুলে ধরলে দলকেই লোকসভা ভোটে চাপে পড়তে হবে। দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, ‘‘এটা দলের সিদ্ধান্ত।’’ এর বেশি কিছু মন্তব্য করতে নারাজ তিনি।