দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারের সফরের সময়েই দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন দিনহাটার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অশোক মণ্ডল।
মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ উত্তরীয় দিয়ে তাঁকে দলে বরণ করে নেন। অমিত শাহের সঙ্গে তাঁকে আলাপ করিয়ে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দলীয় সূত্রের খবর, অশোকবাবুর বিজেপিতে যোগদান তৃণমূলের কাছে একটি বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। অশোকবাবুর অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে দলে তাঁকে ব্রাত্য করে রাখা হয়েছিল। শুধু তিনি নয়, এক সময় যে কর্মী-নেতারা বামেদের সঙ্গে লড়াই করেছে তাঁদের অনেককেই দলে গুরুত্বহীন। অশোকবাবু বলেন, “বামেদের হয়ে যাঁরা প্রতিনিয়ত অত্যাচার করেছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের, সেই বাম নেতারাই এখন দলের সম্পদ হয়ে গিয়েছেন। আবার তাঁদের হাতে সাধারণ মানুষ অত্যাচারিত হচ্ছেন। এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি।” পাশপাশি তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “রাজনীতি আমার পেশা নয়। রাজনীতি আমি ভালবাসি।”
এক সময় তৃণমূলের হয়ে লড়াই করে সেই সময়ের ফরওয়ার্ড ব্লক তথা বাম প্রার্থী উদয়ন গুহকে হারিয়ে দিয়েছিলেন অশোকবাবু। ঘটনাচক্রে সেই উদয়নবাবুই এখন তৃণমূলের বিধায়ক। শুধু তাই নয়, দিনহাটায় দলের শেষ কথা তিনিই বলেন। সেই উদয়নবাবু ওই ঘটনাকে গুরুত্ব দিতে চান না। অশোকবাবুর বক্তব্যের সূত্র ধরে তিনি জানান, “তৃণমূলে যোগ দিয়ে যখন প্রথম কোচবিহারে ফিরি সে সময় অশোকবাবুই স্টেশনে গিয়ে আমায় সংবর্ধনা দেন। তখন তিনি কেন বুঝলেন না, আমি দলে আসলে ক্ষতি হবে।” দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “ওই বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে পরে জানাব।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিল রঞ্জন দে বলেন, “আগামীতে এমন অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবে।”