কাজে মত শুধু জেলাশাসকের

দফতর সূত্রের খবর, অন্য দফতরের মন্ত্রীরা তো রয়েইছেন বিভিন্ন জেলার বিধায়ক, সাংসদ এমনকী কাউন্সিলররাও অতীতে সরাসরি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। এবং সেই মতো কাজও শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৩৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

কোনও নেতা-মন্ত্রীর অনুরোধে এ বার থেকে ‘কাজ’ হবে না, চাই জেলাশাসকের সিলমোহর। নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকের প্রস্তাব রয়েছে কি না তা দেখবে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর। দফতরের সিদ্ধান্ত, রাস্তা তৈরি হোক অথবা বাঁধ, সেতু, পাঁচিল, ভবন যে কাজই হোক না কেন, প্রস্তাব আসতে হবে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকের মাধ্যমে। জেলাশাসকের দফতর ভিন্ন অন্য কোথা থেকে প্রস্তাব এলে সেই কাজ করবে না দফতর।

Advertisement

দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া থাকা কাজ সামলাতেই এই সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে লুকোছাপা করতে রাজি নন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বললেন, ‘‘অনেক সময় দেখা যায় অমুক জনপ্রতিনিধি কোনও কাজের প্রস্তাব দিলেন, হয়তো অন্য কোনও মহল থেকে কোনও আবদার করা হলো। এমন ভাবে কাজ করাই যেতে পারে কিন্তু তাতে সুসংহত পরিকল্পনা ব্যাহত হয়। সে কারণে স্থির হয়েছে একমাত্র জেলা প্রশাসনের প্রস্তাবেই কাজ হবে।’’

দফতর সূত্রের খবর, অন্য দফতরের মন্ত্রীরা তো রয়েইছেন বিভিন্ন জেলার বিধায়ক, সাংসদ এমনকী কাউন্সিলররাও অতীতে সরাসরি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। এবং সেই মতো কাজও শুরু হয়েছে। অনুরোধকারীর ‘মর্যাদা’ রাখতে কাজ শুরু করে উল্টে বিপাকে পড়তে হয়েছে দফতরকে। অর্ধেক কাজ হওয়ার পরে কোথাও বোঝা গিয়েছে প্রকল্পটির কোনও প্রয়োজনই ছিল না, কোথাও আবার দেখা গিয়েছে সেটির থেকেও অন্য কাজ জেলার জন্য জরুরি ছিল। এমনটা যাতে না হয় সে কারণেই জেলা প্রশাসনের থেকে প্রস্তাব চেয়েছে দফতর। কেননা, জেলা প্রশাসন কোনও দফতরে কাজের প্রস্তাব পাঠালে যাবতীয় দিক খতিয়ে দেখে। সেই কাজ জেলার উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণও হয়।

Advertisement

এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিনশো কোটি টাকার কাজ বকেয়া পড়ে রয়েছে দফতরে। দফতরের বাজেট বরাদ্দ প্রায় ছ’শ কোটি টাকা। বিপুল টাকার কাজ বকেয়া পড়ে থাকায় উদ্বেগে দফতর। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘এত কাজ বাকি পড়ে রয়েছে সেগুলি তো আগে সারতেই হবে।’’ বকেয়া কাজগুলির প্রতিটির হালহকিকত জানতে চেয়েছেন মন্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন