তিরন্দাজিতে সেরা গজেন্দ্র বিদ্যাপীঠ

জলপাইগুড়ি জেলার আদিবাসী ছাত্রদের মধ্যে তিরন্দাজি প্রতিযোগিতায় সফল হল ডামডিমের গজেন্দ্র বিদ্যাপীঠের ছাত্ররা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৩১
Share:

চলছে তিরন্দাজি প্রতিযোগিতা। — নিজস্ব চিত্র

জলপাইগুড়ি জেলার আদিবাসী ছাত্রদের মধ্যে তিরন্দাজি প্রতিযোগিতায় সফল হল ডামডিমের গজেন্দ্র বিদ্যাপীঠের ছাত্ররা।

Advertisement

বুধবার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তিনটি স্থানই ডামডিম গজেন্দ্র বিদ্যাপীঠের দখলে যায়। তিরন্দাজিতে আরও ভাল ফলের জন্য স্কুলগুলিতে উন্নতমানের ধনুক এবং তির সরবরাহের দাবি উঠলো। বুধবার জলপাইগুড়ির বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে জেলা আদিবাসী কল্যান দফতরের আয়োজনে দুদিন ব্যাপী আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তীরন্দাজি প্রতিযোগিতার এ দিন শেষ দিন ছিল।

এ দিন বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় জেলার দশটি স্কুলের আশিজন ছাত্র অংশ নেয়। ডামডিমের গজেন্দ্র বিদ্যাপীঠের গুলশান মুন্ডা প্রথম হয়। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হয় একই স্কুলের জয়দীপ চিকবরাইক এবং শাহিল নায়েক। মঙ্গলবার ছাত্রীদের মধ্যে তীরন্দাজি প্রতিযোগিতায় গজেন্দ্র বিদ্যাপীঠের ছাত্রীরা প্রথম এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিল।

Advertisement

স্কুল সূত্রে জানা যায় যে, ডামডিমের স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা নিয়মিত স্কুলে তীরন্দাজি অনুশীলন করে। গত বছর এই স্কুলের সুপ্রিয়া মাহালি কোচবিহারে আন্তঃজেলা স্কুলগুলির স্পোর্টস মিটে প্রথম হয়। গত বছর ডিসেম্বরে বোলপুরে রাজ্য আন্তঃজেলা স্পোর্টস মিটে সে রাজ্যে প্রথম হয়। এই স্কুলের একজন ছাত্র দেব বরাইক এবং একজন ছাত্রী পায়েল পোদ্দার এখন কলকাতায় সাইয়ের কোচিং ক্যাম্পে আছে।

তা হলেও অভিযোগ উঠেছে উপকরণের অভাবে উত্তরবঙ্গের ছাত্রছাত্রীরা ঠিকমতো অনুশীলন না করার জন্য আরও বেশি সংখ্যায় সফল হতে পারছেনা। ডামডিমের স্কুলটির ছাত্রছাত্রীদের কোচ এবং খেলাধুলার শিক্ষক আশিস টুডু বলেন, “আরও বেশি পরিমাণে উন্নতমানের তীর এবং ধনুক থাকলে উত্তরবাংলার স্কুলগুলির ছাত্রছাত্রীরা আরও বেশি পরিমানে সফল হতে পারতো। রাজ্যের অনগ্রসর কল্যান দফতর যদি এ বিষয়ে একটু নজর দেন তাহলে ভাল হয়।” জলপাইগুড়ি জেলা অনগ্রসর এবং আদিবাসী কল্যাণ দফতরের আধিকারিক ডি.এল.ফিনজো বলেন, “ওদের সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করা হবে।”

জলপাইগুড়ি জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার স্কুলগুলি সূত্রে জানা যায় যে অধিকাংশ স্কুলে একটি করে ধনুক আছে। একটি ধনুক দিয়ে সমস্ত স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অনুশীলন করানো সম্ভব হয় না। আরও ভাল ফল করতে গেলে আরও বেশি পরিমাণে ধনুক এবং তিরের দরকার হয় যা অধিকাংশ স্কুলের নেই। জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক অলোক সরকার বলেন, “জেলার আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে তিরন্দাজি প্রতিযোগিতা এ বারই প্রথম হল। তিরন্দাজিতে ছাত্রছাত্রীরা যাতে আরও ভাল ফল করতে পারে সে বিষয়ে নজর দেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন