অপহরণের অভিযোগ জানানোর পরে কেটে গিয়েছে ৩ দিন। এখনও খোঁজ নেই কোচবিহারের কোতোয়ালির বাসিন্দা ওই তরুণীর।
ওই তরুণী পড়াশোনার ফাঁকে আলিপুরদুয়ারের একটি নার্সিংহোমে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতেন। পরিবারের দাবি, ১৫ জানুয়ারি নার্সিংহোম থেকে ফোন এসেছে জানিয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ওই তরুণী। কিন্তু বুধবার নার্সিংহোমের তরফে দাবি করা হয়েছে, সে দিন নার্সিংহোম থেকে তাঁকে ডাকাই হয়নি। এমনকী ওই তরুণী ওই দিন নার্সিংহোমে গিয়েছেন এমন তথ্যও নেই সেখানকার কর্তৃপক্ষের হাতে। কর্তৃপক্ষের আরও দাবি, তরুণী সেখানে ছ’মাস কাজ করেছিলেন। গত দু’মাস ধরে তাঁর সঙ্গে নার্সিংহোমের কোনও যোগাযোগ ছিল না। নার্সিংহোমের এই দাবিতে আরও বেড়েছে রহস্য।
নিখোঁজ হওয়ার পর একাধিকবার বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোনে চাওয়া হয়েছে টাকাও। এতদিন বন্ধ ছিল তরুণীর ফোনও। বুধবার নিখোঁজের এক আত্মীয় তরুণীর নম্বরে ফোন করলে তা খোলা পান। পরিবারের দাবি, সে সময় ফোন ধরে এক পুরুষকণ্ঠ জানায় তাঁদের মেয়ে ভাল রয়েছে। কিন্তু তরুণীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে কেটে দেওয়া হয় ফোন। তবে দ্রুতই তাঁর সন্ধান পাওয়া যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল।