পরীক্ষাকেন্দ্রে অসুস্থ ছাত্রী, স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ

আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়া এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে না পারায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলা শিক্ষা দফতর কোনপাকরির বিবেকানন্দ হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছে৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:২৬
Share:

আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়া এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে না পারায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলা শিক্ষা দফতর কোনপাকরির বিবেকানন্দ হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছে৷

Advertisement

নেতাজী বিদ্যাপীঠের ছাত্রী মৌ ভৌমিকের মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছিল কোনপাকরীর বিবেকানন্দ হাই স্কুলে৷ ছাত্রীর মা জ্যোৎস্না ভৌমিক জানিয়েছেন, পরীক্ষা দিতে স্কুলে ঢোকার পর প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার আগেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ে মৌ৷ বমি করতে করতে স্কুলের বাইরে বেরিয়ে আসে সে ৷ পেটে যন্ত্রণাও হচ্ছিল৷ সঙ্গে সঙ্গেই তিনি স্কুলের ভেতরে গিয়ে শিক্ষিকা ও কর্মীদের বিষয়টি জানান৷ কিন্তু তাঁর অভিযোগ, স্কুলের তরফে কেউ তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। আশপাশের কিছু মানুষের সাহায্যে মেয়েকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান জ্যোৎস্নাদেবী৷

তাঁর কথায়, ‘‘মেয়ে সারা বছর পড়াশোনা করেছে৷ আমরা চেয়েছিলাম ও পরীক্ষাটা অন্তত দিক৷ কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর অনেকক্ষণ পরেও স্কুল কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেননি। শেষ পর্যন্ত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক যখন হাসপাতালে পৌঁছোন তখন পরীক্ষা শেষের পথে৷’’

Advertisement

জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) স্বপন মোহান্ত বলেন, ‘‘আমি দেড়টা নাগাদ খবর পাই ৷ দু’টোর মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছেও যাই৷ তখন ছাত্রীটির স্যালাইন চলছিল৷ ছাত্রীর মা আমায় বলেন, তার মেয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে না৷’’ একই দাবি বিবেকানন্দ হাইস্কুল কর্তৃপক্ষেরও৷ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আলো সরকারের দাবি, ‘‘ছাত্রীটি পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে৷ ভেনুর অফিসার ইনচার্জের মাধ্যমে আমি তা জানার পর হাসপাতালেই তার পরীক্ষা নেব বলে ঠিকও করি৷ কিন্তু তার অভিভাবকরাই অফিসার ইনচার্জকে বলেন, ছাত্রীটি এ দিন পরীক্ষা দিতে পারবে না৷ আর তার অভিভাবকরা স্কুলের কাউকে কিছু জানালে সবরকমের সাহায্য পেত৷’’

কিন্তু কেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে সঠিক সময়ে খবর দেওয়া হল না সেই প্রশ্নের সদুত্তর অবশ্য মেলেনি৷ ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক নিজেও৷ তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন