পোস্টার: সাংসদের বিরুদ্ধে পোস্টার। নিজস্ব চিত্র
বিমল গুরুঙের সমর্থনে কথা বলায় কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার বিরুদ্ধে দার্জিলিং পাহাড়ের নানা এলাকায় পোস্টার সাঁটল ‘জনতা’। বৃহস্পতিবার সকালে পাহাড়ে ওই পোস্টার দেখা যায়। বিকেলে শিলিগুড়ি থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরের সামনে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর গাড়ির সামনে কালো পতাকা দেখিয়ে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখান একদল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সমর্থক।
পরে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অনীত থাপা বলেন, ‘‘পাহাড়ে ১০৫ দিন দুর্দশায় কাটানোর সময়ে একবারের জন্য যিনি পা দেননি, তিনি এখন গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করলে পাহাড়বাসী মানবেন না। সেটাই স্পষ্ট হয়েছে পোস্টার ও বিক্ষোভে।’’ অনীত জানান, দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, সর্বত্র অহলওয়ালিয়ার ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
বুধবার কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী দিল্লি থেকে শিলিগুড়িতে পৌঁছন। তিনি মাটিগাড়ার খাপরাইল মোড়ের একটি হোটেলে দাবি করেন, বিমল গুরুং পাহাড়-সমতলের আশেপাশেই রয়েছেন এবং শীঘ্রই পাহাড়ে ঢুকতে পারেন। যা জানাজানি হতেই পাহাড়ে নানা আলোচনা শুরু হয়ে যায়। এ দিন সকালেই দেখা যায়, ম্যাল চৌরাস্তার, চকবাজার সহ নানা এলাকায় হাতে লেখা পোস্টার সাঁটা হয়েছে। তাতে পাহাড়ের জনতার পক্ষ থেকে দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদকে ধিক্কার জানানো হয়েছে। কিছু পোস্টারে তাঁর পাহাড়ে ঢোকার নৈতিক অধিকার আর নেই বলেও দাবি করা হয়েছে। জিএনএলএফ, মোর্চা, গোর্খা লিগ সহ পাহাড়ের বিজেপি ছাড়া সব দলের লোকজনই ওই পোস্টারের প্রেক্ষাপট যুক্তি সঙ্গত বলে জানিয়ে দিয়েছেন। জিএনএলএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, বন্ধের সময়ে এক বস্তা চালও যিনি পাঠাননি তাঁর পাহাড়ে ঢোকার নৈতিক অধিকার চলে গিয়েছে। অহলুওয়ালিয়া অবশ্য বিক্ষোভ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে বিজেপির এক জেলা নেতা জানান, যথাসময়ে দার্জিলিঙে যাবেন অহলুওয়ালিয়া।