বিনয় তামাং।
বিনয়পন্থী মোর্চার বিরুদ্ধে পাহাড়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগ তুলল পাহাড়ের অন্য দলগুলো। সেই অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হচ্ছে জাপ, জিএনএলএফ, সিপিআরএম, গোর্খালিগ সহ পাহাড়ের ১৫টি সংগঠন। পাহাড়ের যৌথ আন্দোলনকে সমর্থন করেছে সিপিএম, কংগ্রেস, সিপিআইএমএল (লিবারেশন)।
মঙ্গলবার দার্জিলিংয়ের গোর্খা দুঃখ নিবারণী সমিতির হলে সর্বদলীয় বৈঠক করে বিরোধী সংগঠনগুলো। সেখানে গুরুংপন্থী মোর্চার একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন। সিপিআরএম-র উদ্যোগে বৈঠক হয়। সেখানেই যৌথভাবে বিনয়পন্থী মোর্চার বিরুদ্ধে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত করা হয়েছে বলেই জানিয়েছেন সিপিআরএমের নেতা আরবি রাই। তিনি বলেন, ‘‘পাহাড়ে স্বৈরাচারী শাসন চালাচ্ছে বিনয় তামাংরা। বিরোধীদের কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাই ভোটের আগে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দরবার করব।’’
যদিও বিরোধীদের অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন বিনয়। তিনি বলেন, "পাহাড়ের মানুষ আমাদের সঙ্গেই আছে। বিরোধীদের কোনও অস্তিত্ব দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে নেই। ভোটের আগে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই এই ভিত্তিহীন অভিযোগ।’’
সিপিআরএম সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারের বৈঠকে একটি সর্বদলীয় কমিটি তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সিপিআরএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কিশোর প্রধানকে। ২২ ফেব্রুয়ারি কালিম্পংয়ে দ্বিতীয় সর্বদলীয় বৈঠক হবে। সেখানেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন কিশোর। সূত্রের খবর মার্চের শুরুতেই বিরোধীদের একটি প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করবেন। জিএনএলএফের সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্র ছেত্রী বলেন, ‘‘গণতন্ত্র অনেকদিন আগেই শেষ হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে স্বাধীনভাবে নিজেদের মত প্রকাশ করতে পারে তার নিশ্চয়তা প্রশাসনকে দিতে হবে।’’ আন্দোলনকে বিজেপি থেকে দূরে রাখবেন বলে জানান মহেন্দ্র।