আলাদা রাজ্যের দাবিতে আন্দোলনের ব্যাপারে আলোচনার জন্য ফের পাহাড়ের সব স্কুলের কর্ণধার ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তলব করলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রধান তথা জিটিএ চিফ বিমল গুরুঙ্গ।
সোমবার শিক্ষক দিবসে দার্জিলিঙের গোর্খা রঙ্গমঞ্চে দলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের অনুষ্ঠানে মোর্চা সভাপতি বলেন, ‘‘আমরা আবার আন্দোলন শুরু করব। সেখানে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভূমিকা থাকবে। তাই তাঁদের ১১ সেপ্টেম্বর বৈঠকে ডাকা হয়েছে।’’ মোর্চা প্রধান জানান, শীঘ্রই দলের তরফে সব স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যোগ দিতে বলা হবে।
মোর্চা সভাপতির ঘোষণার পরে পাহাড়ের স্কুলের কর্ণধার ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। কারণ, অতীতে আন্দোলনে স্কুলগুলিকে সামিল হতে বাধ্য করায় পাহাড়ে পড়াশোনা শিকেয় উঠেছিল। শুধু তাই নয়, আন্দোলনের জন্য তাঁদের চাঁদাও দিতে হয়েছিল বলেও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ জানিয়েছেন। তবে মোর্চা সভাপতি অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁরা স্কুলের পঠনপাঠনে বিঘ্ন ঘটানোর পক্ষপাতি নন। পাহাড়ে শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা। সে জন্য ১০৩ টি নতুন প্রাথমিক স্কুল এবং ৫৩টি আপার প্রাইমারি স্কুল তৈরি হচ্ছে।