ফের আলোচনায় গোর্খাল্যান্ড

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৬ ০১:৫৪
Share:

অহলুওয়ালিয়ার মন্ত্রিত্ব লাভে উল্লাস তাঁর অনুগামীদের। — নিজস্ব চিত্র

ঘরের লোক মন্ত্রী হয়েছেন। ফলে বিমল গুরুঙ্গ, রোশন গিরিদের গলায় ফিরল গোর্খাল্যান্ডের দাবি। অবশ্য শুধু মোর্চা নয়, পাহাড়ের সব দলই এখন তাকিয়ে রয়েছে অহলুওয়ালিয়ার দিকে। সকলেই জানতে চান, গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে এ বার কী করবেন নতুন মন্ত্রী?

Advertisement

মঙ্গলবার দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পরপরই শিলিগুড়িতে রীতিমতো উৎসব শুরু করে দেয় বিজেপি। আবীর ছড়িয়ে, মিছিল বের করে ফেলেন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। দার্জিলিঙে মেঘলা আবহাওয়ার মধ্যেও এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, ‘‘শুধু পাহাড় কেন, উনি উত্তরেবঙ্গের প্রতিনিধি। দার্জিলিঙের সাংসদের নাম কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের তালিকায় প্রথম বার ওঠায় আমরা খুবই খুশি।’’

একই সঙ্গে রোশনরা বুঝিয়ে দেন, এ বার গোর্খাল্যান্ড নিয়ে তাঁরা নতুন করে আশাবাদী। রোশন বলেন, ‘‘আমাদের মূল দাবি আলাদা রাজ্যের। আশা করি এ বার তা সংসদে জোরদার ভাবে পৌঁছবে।’’ অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগের সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ খাতি বলেন, ‘‘ভোটে দাঁড়ানো থেকে নানা সময়ে উনি পাহাড়ের মূল দাবির সমর্থনে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা তো এখন পূরণ করার সময়। দার্জিলিঙের মানুষের সঙ্গে আমরাও সে দিকে নজর রাখব।’’

Advertisement

তৃণমূল বা সিপিআরএমের মতো পাহাড়ের বাকি দলগুলি কিন্তু অন্য কথা বলছে। সিপিআরএম মুখপাত্র গোবিন্দ ছেত্রী স্পষ্ট বলেছেন, ‘‘আলাদা রাজ্যের দাবি তো উনি একচুলও এগোতে পারেননি। পারবেন বলে মনেও হয় না।’’ পাহাড়ে দ্রুত জনভিত্তি বাড়াচ্ছে তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, অহলুওয়ালিয়া এমন একটি মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন, যার সঙ্গে দেশ বা রাজ্যের উন্নয়ন সরাসরি জড়িত নয়। বরং সংসদীয় মন্ত্রী হিসেবে তাঁকে সংসদের কাজে অনেক বেশি যুক্ত থাকতে হবে। অর্থাৎ দিল্লিতে আরও বেশি সময় দিতে হবে। তাতে তাঁর সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগে ভাটা পড়ারই সম্ভাবনা। তৃণমূলের পাহাড় কমিটির সভাপতি রাজেশ মুখিয়া বলেন, ‘‘এমন কিছু হলে মানুষ তো সমস্যায় পড়বেন।’’

অহলুওয়ালিয়ার অনুগামীরা অবশ্য এ সবে পাত্তা দিচ্ছেন না। তাঁরা বলছেন, যেখানেই থাকুন, অহলুওয়ালিয়া দু’বছর ধরে জেলার কাজ ঠিকঠাকই করেছেন। এখন বরং নজর দিন, আগামী বছরগুলোয় উত্তরবঙ্গ আর কী কী পায়!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement