পাশে: গুলিবিদ্ধ মাজিদকে দেখতে এলেন গৌতম। দেখা করলেন মাজিদের পরিবারের সঙ্গে। নিজস্ব চিত্র
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে মঙ্গলবারই গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন ছাত্র মাজিদের খোঁজ নিয়েছিলেন গৌতম দেব। বুধবার তিনি নিজেই আবার ওই ছাত্রকে দেখতে যান মাটিগাড়ায় নার্সিংহোমে। মাজিদের কেবিনে গিয়ে তাকে দেখার পর গৌতমবাবু নিজে কথা বলেন মাজিদের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের সঙ্গে।
পরে গৌতমবাবু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মাজিদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তাপ্রকাশ করেছিলেন। তার পর আমাকে খোঁজ নিতে বলেছেন। হাসপাতাল এবং পরিবার জানিয়েছে, আগের চেয়ে একটু ভাল রয়েছে মাজিদ।’’ গৌতমবাবু জানান, মাজিদের শারীরিক অবস্থার কথা তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে আজই জানাবেন।
নার্সিংহোমের ডাক্তাররা জানিয়েছেন, আগের চেয়ে তুলনায় একটু ভাল রয়েছে মাজিদ। শনিবার মাজিদের রক্তচাপ খুবই কমে গিয়েছিল বলে জানান তাঁরা। মঙ্গলবার রাত থেকে রক্তচাপ খানিকটা স্বাভাবিক হয়েছে। আগে রোগী রক্ত নিতে পারছিল না। এখন রক্ত নিতে পারছে। কখনও সরাসরি। কখনও রক্তরস আলাদা করে প্রয়োজনমতো অনুচক্রিকাও প্রবেশ করানো হচ্ছে তাঁর শরীরে। ৫ জন ডাক্তারের একটি মেডিক্যাল বোর্ড তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালাচ্ছেন। সেই পাঁচ জনই এ দিন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।
চিকিৎসকরা জানান, পরপর দু’দিন ধরে মাজিদের ডায়ালিসিস চালানো হয়েছে। বুধবার পরীক্ষামূলকভাবেই ডায়ালিসিস বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে এখনও তার মূত্রত্যাগের মাত্রা বাড়ছে না। যতক্ষণ না কিডনি পুরোপুরি স্বাভাবিক কাজ করছে, ততক্ষণ বিপন্মুক্ত নয় ছাত্র। সংক্রমণ এড়াতে দ্রুত তাঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনার চেষ্টা করছেন ডাক্তাররা।
মঙ্গলবার তাঁর জ্ঞান ফিরে আসার পর সাধারণ কথাবার্তায় সাড়া দিচ্ছে মাজিদ। মুখ খোলার চেষ্টা করছে। মাজিদের দাদা সাজিদ আনসারি জানিয়েছেন, আগের চেয়ে খানিকটা ভাল রয়েছে তাঁর ভাই। তাঁর কথায়, ‘‘ডাকলে চোখ খুলে তাকাচ্ছে, কথা বলতে চাইছে। ভাই দ্রুত বাড়ি ফিরুক, এখন এটাই চাই।’’