মুখ্যমন্ত্রী ফিরে যেতেই দলের নেতা-কর্মীদের ডেকে বৈঠক করে ‘বাংলা ভাগ’-এর চেষ্টার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলায় পুরোদস্তুর মাঠে নামার নির্দেশ দিলেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌতম দেব। বুধবার সন্ধ্যায় হিলকার্ট রোড়ে দলীয় কার্যালয়ে জেলা কোর কমিটির নেতা, মহিলা তৃণমূল, ছাত্র সংগঠন-সকলকে নিয়ে আলোচনা করে ব্যাপক ভাবে আন্দোলন, মিছিল, মিটিংয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। নকশালবাড়ি, চম্পাসারি, শালুগাড়া সর্বত্রই মিছিল, জনসভা করার কথা জানিয়ে দেন।
মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার চোপড়ার সভায় জানিয়েছেন ‘জীবন চলে গেলেও বাংলাকে ভাগ হতে দেব না’। এ দিন বৈঠকে সেই বার্তা দিয়ে দলের সকলকে আন্দোলনে নামতে নির্দেশ দিয়েছেন গৌতমবাবু।
৯ অগস্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম থেকে মিছিল বার হবে। মিছিল যাবে দার্জিলিং মোড় পর্যন্ত। উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত শিলিগুড়ি শহরে বাংলাভাগের চেষ্টার বিরুদ্ধে অরাজনৈতিক ভাবে বড় কোনও মিছিল মহানন্দা সেতুর ওপারে যেতে দেয়নি পুলিশ। ১০ অগস্ট শিলিগুড়িতে অবস্থান আন্দোলন হবে। দলের মহিলা শাখা, টাউনশাখা, সাংগঠনিক ব্লকগুলির তরফে পথসভা চলবে।
২০ অগস্ট নকশালবাড়িতে বড় আকারে জন সমাবেশ হবে। ১৪ অগস্ট রাতে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেও সকলকে সামিল হতে বলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে সিপিএমের নেতা জীবেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমাদের বহু কর্মী গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনে মারা গিয়েছেন। আর তৃণমূল নেতারা গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের মঞ্চে গিয়ে গুরুঙ্গদের সরবত খাইয়েছেন একসময়। তাই এ সব না করে তাঁদের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা উচিত।’’