প্রশ্নোত্তর পর্বে শুধুই প্রশস্তি

কয়েক দিন আগেই প্রচারে বেরিয়ে নানা সমস্যার কথা শুনতে হয়েছিল। কোথাও রাস্তায় পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই, কোথাও নিকাশির হাল তলানিতে। কোথাও আবার পুরসভার কল থেকে নিয়মিত জল না পাওয়ার অভিযোগ। কিন্তু নাগরিক সভায় প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকলেও সে বিষয়ে কোনও প্রশ্ন পেলেন না মন্ত্রী। ডেকে প্রশ্ন করার আর্জি জানালেও মন্ত্রীর সামনে মুখ খুললেন না কেউ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৫ ০১:২০
Share:

কয়েক দিন আগেই প্রচারে বেরিয়ে নানা সমস্যার কথা শুনতে হয়েছিল। কোথাও রাস্তায় পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই, কোথাও নিকাশির হাল তলানিতে। কোথাও আবার পুরসভার কল থেকে নিয়মিত জল না পাওয়ার অভিযোগ। কিন্তু নাগরিক সভায় প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকলেও সে বিষয়ে কোনও প্রশ্ন পেলেন না মন্ত্রী। ডেকে প্রশ্ন করার আর্জি জানালেও মন্ত্রীর সামনে মুখ খুললেন না কেউ। শনিবার রাত ৯ টায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের নিজের পাড়া ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রশ্নোত্তরের নামে উপস্থিত কর্মী সমর্থকদের মুখে শুধুই উন্নয়নের প্রশস্তি। নিজের প্রশংসা শুনে মন্ত্রী প্রশ্নোত্তরের জবাব দিতে গিয়ে শিলিগুড়ি শহর, এমনকী উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েই বললেন।

Advertisement

এদিন রাত আটটায় সভায় আসার কথা থাকলেও তিনি ঢোকেন রাত ৯ টায়। তার আগে পর্যন্ত আয়োজক ওয়ার্ড তৃণমূলের কর্মীদের কপালে চিন্তার ছাপ। স্থানীয় একটি গ্যারেজে সভার আয়োজন করা হলেও তাতেও লোক ভরছে না। শেষে মন্ত্রী এসে মাইক ধরতে আরও কিছু কর্মী সমর্থক ভিড় করাতে কিছুটা মুখ রক্ষা হয়। মন্ত্রী বলেন, ‘‘এই ওয়ার্ডের গুরুত্ব অনেক। এখানে সরকারি বহু অফিস, স্কুল, কলেজ, আদালত রয়েছে। তাই গুরুত্ব অনুযায়ীই রাস্তা থেকে সৌন্দর্যায়ন সবটাই জরুরি।’’ এবারও তাঁর স্ত্রী শুক্লাদেবী তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হলে, তাঁরা ঢালাও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন।

১৭ নম্বর ওয়ার্ডেই রয়েছে শিলিগুড়ি কলেজ। মন্ত্রীর পরামর্শে কলেজের দেওয়ালের পাশ দিয়ে ফের আরও একটি দেওয়াল তুলে তাতে গাছ লাগিয়ে সৌন্দর্যানের উদ্যোগ নিচ্ছে শিলিগুড়ি পুরসভা। এটা নিয়েও এলাকার বাসিন্দাদের একটা বড় অংশের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এতে রাস্তার একটা অংশ দখল হয়ে গিয়েছে। ওই রাস্তার তিনদিকে কলেজ ও দুটি স্কুল রয়েছে। দুশো মিটার দূরত্বে আরও একটি স্কনুল। ফলে প্রতিদিন সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের বলে অভিযোগ উঠেছে। কয়েকটি এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থার হাল অত্যন্ত খারাপ। নিয়মিত নর্দমা পরিস্কার হয় না বলে মন্ত্রীকে কয়েকদিন আগে ডেকে দেখান কয়েকজন বাসিন্দা। মন্ত্রী তাঁদের প্রতিশ্রুতিও দেন ফের জিতে এলে কাজ করা হবে। মন্ত্রী এদিন বক্তব্য পেশের সময় এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানান তাঁকে ওই ওয়ার্ড থেকে চারবার ও তাঁর বৌদিকে একবার মোট পাঁচ দফায় ২৫ বছর তাঁদের পরিবার থেকে কাউন্সিলর করার জন্য। তাঁর জমানার ২৫ বছরেও কেন এই ওয়ার্ডের এই দশা তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন এদিন ওঠেনি। কেউ বললেন, ‘‘আপনার ওয়ার্ডের বাসিন্দা হিসেবে আমরা গর্বিত’,’’ কেউ বললেন, ‘‘সেভ ওয়াটার’ প্রকল্পে আপনার সহযোগিতায় আমরা আপ্লুত।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন