আমের জেলায় আঙুরও

আমের জেলা হিসেবে পরিচিত মালদহে এবার নতুন সংযোজন আঙুর চাষ। এই প্রথম জেলায় পরীক্ষামূলক ভাবে হচ্ছে আঙুর চাষ।জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ প্রভাস চৌধুরী করছেন সেই চাষ। হবিবপুরের প্রত্যন্ত কুমারপুর গ্রামে দু’বিঘা জমিতে ইতিমধ্যে ফলতেও শুরু করেছে সেই আঙুর।

Advertisement

জয়ন্ত সেন

মালদহ শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৭ ১২:৫০
Share:

ফলন: কুমারপুরে নিজের আঙুর খেতে কুমার চৌধুরী। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়

আমের জেলা হিসেবে পরিচিত মালদহে এবার নতুন সংযোজন আঙুর চাষ। এই প্রথম জেলায় পরীক্ষামূলক ভাবে হচ্ছে আঙুর চাষ।

Advertisement

জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ প্রভাস চৌধুরী করছেন সেই চাষ। হবিবপুরের প্রত্যন্ত কুমারপুর গ্রামে দু’বিঘা জমিতে ইতিমধ্যে ফলতেও শুরু করেছে সেই আঙুর। এখন বাজারে চলা নাসিকের আঙুর যখন শেষ হবে। তখন মে মাসের শেষ দিকে বাজারে আসবে মালদহের এই আঙুর।

হবিবপুর ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত একটি গ্রাম কুমারপুর। গ্রামটি আদিবাসী অধ্যুষিত। সেখানেই নিজের ওই দু’বিঘা জমিতেই আঙুর চাষ করেছেন প্রভাস চৌধুরী।

Advertisement

বাঁকুড়ার তালড্যাংরায় উদ্যানপালন দফতরের ফার্ম থেকে ৫০০ আঙুর চারা এনে গত বছর জমিতে লাগিয়েছেন তিনি। সাড়ে চারশো চারা টিকেছে। মোট ৫২ প্রজাতির আঙুর গাছ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আর্কা নীলমানি, আর্কাবতী, পুসা উর্বশী, আর্কা তৃষ্ণা। ফলবে সবুজ ও কালো দু’রকম আঙুর।

প্রভাসবাবু বলেন, ‘‘গত বছরই সামান্য ফল এসেছিল। কিন্তু উদ্যানপালন দফতরের আধিকারিকদের পরামর্শে সে সব ফলের গোড়া থেকে কেটে দিতে হয়েছিল। যাতে এবার পরিপূর্ণভাবে ফল আসে।’’ এই মরসুমে ভালো ফল ধরেছে বলে জানান তিনি। জমি পরিচর্যায় বেশি সময় দিতে পারেন না প্রভাসবাবু। তাই রয়েছেন দু’জন সর্বক্ষণের শ্রমিকও।

এই আঙুরের স্বাদ কেমন হবে?

মালদহ উদ্যানপালন দফতরের সহ অধিকর্তা রাহুল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আঙুর চাষের জন্য যে ধরণের মাটি বা আবহাওয়া দরকার তা ওই জমি ও এলাকায় রয়েছে।’’ ওই এলাকার মাটিতে সব সময়ই জলের একটা টান রয়েছে। আবহাওয়া শুষ্ক ও আপেক্ষিক আর্দ্রতাও কম। এ কারণেই পরীক্ষামূলকভাবে আঙুর চাষে ওই এলাকাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে বলে জানান রাহুল চক্রবর্তী। আঙুরের স্বাদ ও ফলন নিয়েও আশাবাদী তিনি। প্রভাসবাবু সফল হলে হবিবপুর ও বামনগোলা ব্লকে আঙুর চাষ বাড়বে বলে কৃষি অধিকর্তাদের ধারণা। এখন বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামে কিছু এলাকাতেও আঙুর চাষ হচ্ছে বলে জানান রাহুলবাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন