প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যের প্রথম ‘গ্রিন জেল’ হিসাবে শিলিগুড়ি সংশোধনাগারের পরিকাঠামো তৈরির কাজে হাত দিল কারা দফতর। বুধবার দুপুরে রাজ্যের কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস শিলিগুড়ি সংশোধনাগার পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কারা দফতরের ডিজি ও প্রধান সচিবও। অফিসার, কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও তিনি বন্দিদের সঙ্গে বিভিন্ন সেলে গিয়ে কথা বলেন। তার পরে মন্ত্রী দ্রুত ‘গ্রিন জেলে’র কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন।
দফতর সূত্রের খবর, প্রকল্পটিতে গোটা সংশোধনাগার চত্বরের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাকে সৌর বিদ্যুতে পরিবর্তন করা হচ্ছে। এতে বিকল্প শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সংশোধনাগারের আয় বাঁচিয়ে তা অন্য খাতে খরচ হবে। বতর্মানে প্রতি তিন মাসে সংশোধনগারের বিদ্যুতের বিল প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা দাঁড়ায়। কারামন্ত্রী বলেন, ‘‘শিলিগুড়ি সংশোধনাগারের পরিকাঠামো অনেক ভাল। বন্দিদের সেল, চিকিৎসা, লাইব্রেরি, রান্নাঘর সব ঠিকঠাক। প্রচুর গাছ রয়েছে। একে আরও সমৃদ্ধ করতে আমরা নানা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানকার প্রশাসনিক ভবনের জন্য ৫০ কিলোওয়াটের ওই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে বছরে বিমানবন্দর কতৃর্পক্ষের সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা মত খরচ কমেছে। এবার শিলিগুড়ি সংশোধনাগারে সেই ব্যবস্থাই করতে চলেছে কারা দফতর। গত মাসেই পূর্ত দফতরের (ইলেকট্রিক্যাল) বাস্তুকারের সমীক্ষার কাজ শেষ করেছেন। চলতি সপ্তাহে রিপোর্ট জমা পড়তেই কাজ শুরু হবে। প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ লক্ষ টাকার মতো। শিলিগুড়ি সংশোধনাগারের সুপার নবীন কুজুর জানান, মন্ত্রীর বিস্তারিত খোঁজ নেওয়ার পর দ্রুত কাজ করতে বলেছেন। জুলাই মাসের মধ্যে আমরা চেষ্টা করব। পূর্ত দফতরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। শিলিগুড়ির পর রাজ্যের অন্যত্র এই ব্যবস্থা হবে।
বুধবার দুপুরে জলপাইগুড়িতে কেন্দ্রীয় সংশোধনারও পরিদর্শন করেন তিনি৷ তিনি বলেন, ‘‘যে সব সংশোধনাগারের মেঝে খারাপ হয়ে গিয়েছে, সেখানে টাইলস লাগানো হবে।’’ জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের হাসপাতালে এক মাস ধরে কোনও চিকিৎসক নেই৷ ওষুধেরও সঙ্কটও চলছে৷ মন্ত্রী জানান, সংশোধনাগারের হাসপাতালে খুব শীঘ্রই চিকিৎসক নিয়োগ হয়ে যাবে৷ সংশোধনাগারের কর্তারা জানান, চিকিৎসক নিয়োগের জন্য কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে৷
জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা খরচ করে তেলের ঘানি বসিয়েছেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ৷ মন্ত্রী এ দিন সেটিও ঘুরে দেখেন৷ সংশোধনাগারের কর্তারা জানিয়েছেন, মাস খানেকের মধ্যেই তেলের ঘানিটি চালু হয়ে যাবে৷ আবাসিকরাই সেখান থেকে তেল উৎপাদন করবেন৷ সে জন্য সংশোধনাগারের ভেতরে সর্ষের চাষও করা হচ্ছে৷