কংগ্রেসের দলীয় কোন্দল এ বার প্রকাশ্যে চলে এল। দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সরকারকে পদচ্যুত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতেই বিকাশবাবু পাল্টা তোপ দাগলেন দার্জিলিং জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকারের বিরুদ্ধে। বিকাশবাবুর দাবি, সম্পূর্ণ অনৈতিক ভাবে তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়েছে। এমনকী তাঁকে কোনও লিখিত চিঠিও দেওয়া হয়নি। দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি অবশ্য জানিয়েছেন, দলের জেলা সভাপতি হিসেবে দলবিরোধী কাজ করলে তিনি কাউকে পদচ্যুত করতে পারেন। কারও কোনও কিছু বলার থাকলে দলের উচ্চ মহলে বলতে পারেন।
শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘বিকাশবাবু কংগ্রেস থেকে লোক ভাঙিয়ে তৃণমূলে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছিলেন বলে আমার কাছে প্রমাণ রয়েছে। সে কারণেই ওঁকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সদস্যপদ খারিজ তো হয়নি।’’ পাল্টা বিকাশবাবু বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে, আমার বক্তব্য শোনা উচিত ছিল বা শোকজ করা যেত। তা না করে সরাসরি বরখাস্ত করা নীতি বিরুদ্ধ। আমি প্রদেশ নেতৃত্বের কাছে গোটা ঘটনাটি জানিয়েছি।’’
এ দিন একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও তুলেছেন বিকাশবাবু। তাঁর দাবি, আমার বিরুদ্ধে যদি দলবিরোধী কাজের অভিযোগ তোলা হয় তাহলে একই অভিযোগে অভিযুক্ত শঙ্করবাবুও। এসজেডিএ দুর্নীতি মামলায় জেলা সভাপতির নাম জড়িয়ে গিয়েছে, তাতেও দলের ভাবমূর্তি যেমন ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তেমনই গত পুরবোর্ডকেও উনি ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধির কাজে লাগিয়েছেন। তাঁর অনৈতিক কাজের জন্যই অনেকে দল ছেড়েছেন। যদিও জেলা সভাপতি শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘বিকাশবাবু যদি এত সব জানেন, তাহলে নেতৃত্বকে জানাননি কেন?’’