মালদহে দলের নেতা-নেত্রীদের দ্বন্দ্ব মেটাতে নয়া জেলা কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতা-নেত্রীদের ব্যক্তিগত পার্টি অফিসগুলিতেই পালা করে প্রতি শুক্রবার দলের জেলা কমিটির সভা করার দাওয়াইও বাতলে দিয়েছিলেন তিনি। সেই অনুযায়ী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে শুক্রবার বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। শনিবার বৈঠক হলেও তাতে গরহাজির থাকলেন পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষ।
জেলা কমিটির দুই কার্যকরী সভাপতি সহ আরও চার জন এ দিনের বৈঠকে হাজির হননি। ফলে ফের প্রশ্ন উঠল, এই জেলায় তৃণমূলের দ্বন্দ্ব কী আদৌ মিটবে? গরহাজির থাকা সদস্যরা অবশ্য বৈঠকে না আসার পেছনে নানা যুক্তি খাড়া করেছেন।
গত ২ মে মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুর সফরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মালদহের মহানন্দা ভবনে বৈঠকে তিনি দ্বন্দ্ব মেটাতে নেতা-নেত্রীদের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে জেলা কমিটির বৈঠক করার দাওয়াই দেন। দলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘‘সমস্যা থাকায় শুক্রবারের বৈঠকটি এ দিন হয়।’’
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার শহরের কালীতলায় থাকা কৃষ্ণেন্দুর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এ দিন বেলা চারটে নাগাদ সভা শুরু হয়। মোয়াজ্জেম হোসেন, দুলাল সরকার, কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী, অসিত বসু, অম্লান ভাদুড়ি, সুমালা অগ্রবাল সকলেই ছিলেন বৈঠকে। হাজির ছিলেন না জেলা কমিটির দুই কার্যকরী সভাপতি আবু নাসের খান চৌধুরী, তজমুল হোসেন, নীহাররঞ্জন ঘোষ, চৈতালী সরকার ও মানব বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রেই খবর, এ দিন যখন বৈঠক শুরু হয় সে সময় কৃষ্ণেন্দুর কার্যালয়ের ৫০ মিটারের মধ্যে পুরসভায় নিজের দফতরেই ছিলেন নীহারবাবু। কিন্তু তার পরেও তিনি না যাওয়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। নীহারবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘শুক্রবার বৈঠকের জন্য প্রস্তুতও ছিলাম। কিন্তু কেন বৈঠক হল না তা জানা নেই। এ দিন যে ফের বৈঠক হবে তা কেউ জানায়নি। নাসের ও তজমুলের অবশ্য দাবি তাঁকে জানানো হয়েছিল।