Darjeeling

দার্জিলিং ঢোকার নতুন রাস্তার ঘোষণা  

শিলিগুড়ি থেকে রোহিণী রোড, পাঙ্খাবাড়ি রোড এবং ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে দার্জিলিং যাতাযাত করতে হয়। তিনটি রাস্তা কার্শিয়াঙের বিভিন্ন প্রান্তে মেলে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৩ ০৮:০৩
Share:

দার্জিলিং শহরের অদূরে কাঞ্চনজঙ্ঘা। — ফাইল চিত্র।

‘নতুন দার্জিলিং’ গড়তে নতুন সংযোজন। সোমবার, ‘এভারেস্ট ডে’র সকালে দার্জিলিঙের অনুষ্ঠান থেকে নতুন একটি রাস্তার তৈরির ঘোষণা করল জিটিএ। শৈলশহরে যাওয়ার জন্য প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে বিকল্প রাস্তাটি তৈরি হবে। সাড়ে ১৩ কিলোমিটার ওই রাস্তার কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে সোমবার জানিয়েছেন জিটিএ-র চিফ এগজ়িকিউটিভ অনীত থাপা। দার্জিলিং শহরের যানজট কমাতে এবং পর্যটকদের সুবিধার জন্যেই এই নতুন রাস্তার সিদ্ধান্ত বলে তিনি জানান।

Advertisement

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দার্জিলিং শহরের ঘিঞ্জি রূপ বদলে নতুন দার্জিলিং তৈরির কথা হয়েছে। মুখ্যসচিব পর্যায়ে সান্দাকফু এলাকার পরিকাঠামো বাড়ানো নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।সেই সময় দার্জিলিং শহরকে নিয়েও ভাবনা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারও সমতল থেকে পাহাড়ে যাওয়ার ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কে রেললাইনের অংশ এবং রাস্তা মিলিয়ে এক করার চিন্তাভাবনা করছে। সেই সময়ই ঘুম লাগোয়া তিন মাইল এলাকা থেকে লেবং দিয়ে দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তাটি তৈরির কথা ঘোষণা করা হল। এ নিয়ে জিটিএ প্রধান অনীত থাপা বলেন, ‘‘স্থানীয় বাসিন্দাএবং পর্যটকদের কথা ভেবেই দার্জিলিংকে সুন্দর করে সাজানো হচ্ছে। আর যানজট দার্জিলিঙের বিরাট সমস্যা। একে কমাতে নতুন রাস্তা কার্যকর হবে। আর বিকল্প রাস্তার কথা আমরা ভাবব।’’

শিলিগুড়ি থেকে রোহিণী রোড, পাঙ্খাবাড়ি রোড এবং ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে দার্জিলিং যাতাযাত করতে হয়। তিনটি রাস্তা কার্শিয়াঙের বিভিন্ন প্রান্তে মেলে। সেখান থেকে একটি জাতীয় সড়কে দার্জিলিং পৌঁছতে হয়। কার্শিয়াং থেকে রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ায় সমস্যা বেড়েছে। কার্শিয়াং, ঘুম বা বাতাসিয়া থেকে প্রায়ই গাড়ির সুবিশাল লাইন পড়ে। শহরের ঢোকার মুখে যানজট তৈরি হয়। অন্য দিকে, ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে সেবক, তিস্তাবাজার হয়ে কালিম্পং। আবার কালিম্পং থেকে তিস্তা, জোরবাংলো হয়ে দার্জিলিং আসা যায়।নতুন রাস্তাটি ঘুম লাগোয়ো তিন মাইল থেকে শুরু হচ্ছে।

Advertisement

জিটিএ আধিকারিকেরা জানান, ঘুম থেকে একটিই রাস্তা দার্জিলিং যাওয়ার ছিল। এ বার তিন মাইল, লেবং হয়ে আর একটি রাস্তা তৈরি হবে। তাতে দু’টিরাস্তা এবং কালিম্পংমুখী জোরবাংলো হয়ে তিস্তাবাজারের রাস্তাটি থাকবে। যানজট কমার সঙ্গে সঙ্গে বর্ষায় ধসের মরসুমেও একাধিক রাস্তা থাকলে সকলের সুবিধা হবে। পর্যটন সংগঠনের কর্তা সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘দার্জিলিং সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। নয়া দার্জিলিঙের সঙ্গে পুরনো দার্জিলিঙের জন্য নতুন রাস্তা, পার্কিং ব্যবস্থা এবং পুরানো রাস্তা কিছু চওড়া করা দরকার। জিটিএ-র নতুন রাস্তার পরিকল্পনা সবার সমস্যা মেটাতে কিছুটাসাহায্য করবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন