Sandakphu

কেমন আছে বাংলার উচ্চতম স্থান সান্দাকফু? জিটিএ পার্ষদদের নিয়ে ঘুরে দেখলেন অনীত থাপা

অনীতকে কাছে পেয়ে খুশি সান্দাকফুর বাসিন্দারা। অনীত তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা মন দিয়ে শুনেছেন। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। আশায় বুক বাঁধছেন সান্দাকফুবাসী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২২ ১৫:৪০
Share:

জিটিএ আধিকারিকদের নিয়ে সান্দাকফু সফরে অনীত। — নিজস্ব ছবি।

দার্জিলিঙের মধ্যেই সান্দাকফু। যদিও অবস্থানগত ভাবে একে বারেই ভিন্ন পরিবেশ। পাহাড়ের রাজনৈতিক আঙিনা থেকে বেরিয়ে কোনও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সান্দাকফুর খোঁজখবর নিচ্ছেন, এমন দৃশ্যের কথা মনে পড়ছে না সান্দাকফুর দীর্ঘদিনের বাসিন্দাদেরও। বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে সম্প্রতি গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-এর সিইও অনীত থাপা পৌঁছেছিলেন সান্দাকফুতে। দার্জিলিং থেকে জিটিএ-র সবচেয়ে দূরবর্তী এলাকা তিন দিনের সফরে ঘুরে দেখলেন টংলু, টুংলিং-সহ বিভিন্ন এলাকা। শোনেন সাধারণ মানুষের অভাব, অভিযোগের কথা।

Advertisement

অনীত শুধু এলেনই না, কথা বললেন, অভাব-অভিযোগের কথা শুনলেন মন দিয়ে। আশ্বাস দিলেন, যত দ্রুত সম্ভব কাজ হবে। পরে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর কাঞ্চনজঙ্ঘাও যেন হাসছে। আমরা প্রথম বার এ ভাবে এই জায়গায় এলাম। এখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কথা বললাম। তাঁদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেছি। সব থেকে বড় বিষয়, এখানে কোনও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই৷ স্বাস্থ্য দফতরের সাথে কথা বলে দ্রুত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করার কাজ শুরু করব।’’

সান্দাকফু পর্যটকদের খুব পছন্দের জায়গা। কিন্তু সেখানে পরিকাঠামোর বড়ই অভাব বলে মনে করেন অনীত। রয়েছে পানীয় জলের সমস্যাও। অনীতের কথায়, ‘‘কলকাতার সঙ্গে কথা বলে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি বিদ্যুতের সমস্যারও সমাধান করা হবে।’’ অনীতের এই সব আশ্বাসে ভরসা করতে শুরু করেছেন স্থানীয়েরা। নিতু প্রধান বলেন, ‘‘এতটাই উপরে আমাদের বাসস্থান যে, নির্বাচনী প্রচারও সেই অর্থে হয় না। যদিও আমরা নিয়ম করে ভোট দিই৷ তবে আজ পর্যন্ত কেউই ভোটে জয়ী হওয়ার পর আসেননি। সুবিধা, অসুবিধা জানাবার লোকও ছিল না। এই প্রথম অনীত থাপা এলেন৷ তিনি সব শুনেছেন। বলেছেন দ্রুত কাজ করবেন।’’

Advertisement

সান্দাকফুতে হোমস্টে রয়েছে সুনিতা শেরপার। তিনি বলেন, ‘‘ভাল লাগল, এই প্রথম কোনও জনপ্রতিনিধি এখানে এসে আমাদের খোঁজখবর নিলেন। আমাদের সঙ্গে অনেক কথা বললেন। অনীত আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন সমস্যার দ্রুত সমাধান করবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement