জিটিএ ছাড়ার হুমকি অব্যাহত রয়েছে পাহাড়ে। শনিবার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি দাবি করেছেন, তাদের দলের সব জিটিএ-এর সভাসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলনে সামিল হবেন।
গত বৃহস্পতিবার মোর্চা সভাপতি তথা জিটিএ-এর চিফ একাই সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেছিলেন, তিনি আর দু-আড়াই মাসের মধ্যেই জিটিএ-এর পদ ছেড়ে দিয়ে গোর্খাল্যান্ডের আন্দোলন শুরু করবেন। তবে জিটিএ-এর অন্য সভাসদরা কী সিদ্ধান্ত নেবেন তা জানা নেই বলে গুরুঙ্গ দাবি করেছিলেন। তারপর থেকেই মোর্চার সভাসদরা গুরুঙ্গকে সমর্থন করে দলনেতার পথ অনুসরণ করবেন বলে দাবি করে চলেছেন।
শুক্রবার কার্শিয়াঙের ৭ জিটিএ সভাসদ পদ ছাড়ার হুমকি দিয়েছিলেন। শনিবার মোর্চার সাধারণ সম্পাদক তথা জিটিএ-এর সভাসদ রোশন গিরি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘‘অন্য সভাসদদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। সকলেই সহমত। আমাদের চিফ বিমল গুরুঙ্গ ইস্তফা দিলে আমরাও সকলে জিটিএ থেকে সরে দাঁড়াব। সকলে মিলে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন শুরু করব।’’
পাহাড়ের অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের অবশ্য দাবি, রাজ্য এবং কেন্দ্রের ওপরে চাপ বাড়াতেই হুমকি পালা শুরু হয়েছে। সে কারণেই একদিনে সকলে নিজের সিদ্ধান্ত না জানিয়ে, ধাপে ধাপে জানাচ্ছেন। প্রতিদিনই কাউকে না কাউকে দিয়ে জিটিএ ছাড়ার হুমকি দিয়ে চাপ বজায় রাখতে চাইছে মোর্চা।