বেআইনি: পরিদর্শন হয়ে যেতেই বসেছে দোকান। নিজস্ব চিত্র
এমসিআই প্রতিনিধি দল আসছে খবর পেয়ে রাতারাতি রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বর থেকে সরানো হয়েছিল সমস্ত অবৈধ দোকান। মঙ্গলবার এবং বুধবার প্রতিনিধি দল পরিদর্শন সারে। বুধবারই দুপুরে তারা চলে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিত্র সেই আগের মতই। ক্যাম্পাস জুড়েই বসেছে অন্তত ৩০টি অবৈধ দোকান। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি প্রশাসনের তরফে দেখা উচিত। তাদের একাধিকবার জানানো হয়েছে। দোকান তোলা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জড়িত। তাই পুলিশ প্রশাসনকেই দেখা দরকার বলে তারা মনে করেন। জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনাকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। অধ্যক্ষ দিলীপ পালও এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি।
শাসক দলের মদতেই ওই সমস্ত দোকান চলছে বলে অভিযোগ। হাসপাতাল চত্বরে ওই সমস্ত অবৈধ দোকান নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কর্তৃপক্ষের দাবি, বারবার তাদের সরে যেতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল চত্বরে এ ধরনের অবৈধ দোকান নিয়ে এমসিআই সব সময়ই আপত্তি তোলে। সে কথা মাথায় রেখে সম্প্রতি জেলাপ্রশাসন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করলে সেখানে বিষয়টি ওঠে। প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয় হাসপাতালের তরফে। এর পরেই জেলাপ্রশাসনের তরফে নির্দেশ জারি করা হয়, ২৫ নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত অবৈধ দোকান উঠে যেতে। কিন্তু তাতেও কিছু কাজ হয়নি। হাসপাতাল চত্বরে চা, খাবারের দোকান। ঠেলায় করে স্টেশনারি জিনিস বিক্রির দোকান, ফলের দোকান সব মিলিয়ে অন্তত ৩০টি দোকান চলছিলই। মঙ্গলবার এমসিআই পরিদর্শনে আসবে জানার পর ওইদিন আর কোনও দোকান ক্যাম্পাসে দেখা যায়নি। রাতারাতি তারা দোকান গুটিয়ে সরিয়ে নেয়। অথচ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তাদের আগের জায়গায় দেখে অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন, ‘‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, প্রশাসনের মদতেই দোকান চলছে। তারা চাইলেই তা তুলে দিতে পারে সেটা তো বোঝাই গেল। শাসক দলের মদত রয়েছে বলে তারা দেখেও দেখছেন না।’’ তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।