উদ্বেগ: ঘরের খোঁজ। নিজস্ব চিত্র
এরকমই রেল লাইনের পাশে আমাদের ঝুপড়ি বাড়ি ছিল তো! টিভি স্ক্রিনে রেল লাইের ওপর দিয়ে বন্যার জল বইতে দেখে চিৎকার করে উঠল শ্যামলা মেয়েটি। চোখে অঝোরে জল গড়াচ্ছে। মেয়েটি বলেই চলছে, “রেল লাইনের পাশে দেওয়ালের গায়ে আমাদের ঝুপড়ি বাড়ি। মা-বাবা সেখানেই থাকে। উল্টো দিকে রাস্তা। রাস্তার সামনে মন্দির। মা-বাবা ঠিক আছে তো?”
টিভি স্ক্রিনে তখন কেরলের চেনঙ্গান্নুর শহরের বন্যা বিদ্ধস্ত এসলাকার ছবি দেখাচ্ছে। কবরের কাগজে কী বেরোচ্ছে তাও দেখছে। হোম সুপার ডালিয়া মিত্র জানতে চাইলেন মেয়েটির কাছে, “চেঙ্গান্নুরেই তোমার মা-বাবা থাকেন?” দু হাতের তালুতে মুখ নামিয়ে জোরে জোরে দু দিকে মাথা নাড়তে থাকে কিশোরী। বলে, “জানি না। নামটা আমার মনে পড়ে না।”
কেরলের কোথায় মা-বাবা থাকেন তার ঠিকানা জানে না পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে হোমে ঠাঁই হওয়া কিশোরীর। ঠিকানা বলতে তার কাছে শুধু স্মৃতির এক টুকরো ছবি। এনজেপি স্টেশন থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। দীপশ্রী বলেন, “আমাদের হোমেও ভালই ছিল। কিন্তু যে দিন থেকে কেরলে বন্যার খবর শুনেছে মেয়েকে রাখা যাচ্ছে না।”