পাশে: নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করলেন রমজ। নিজস্ব চিত্র
পেরিয়ে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টা, অ্যাসিড হামলায় মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক। গত বুধবার রাতে গোয়ালপোখর থানার কামারপুর গ্রামে নিজের স্ত্রীর মুখে অ্যাসিড ছুড়ে স্বামী পালিয়ে যান। আর এই নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ওই তরুণীর স্বামী কোথা থেকে অ্যাসিড পেল, তা নিয়েও পুলিশ এখনও ধন্দে। এ দিন কিসানগঞ্জ হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, নাইট্রিক অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়েছে।’’ জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, সম্ভবত বিহার থেকে অ্যাসিড আনা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তদন্তে বেশ কয়েকটি সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। যেমন, প্রথমত কোনও ওষুধ দোকান থেকে অ্যাসিড আসতে পারে। কোনও কারখানা থেকে আসতে পারে। অথবা ব্যাটারির অ্যাসিডের সঙ্গে কোনও বিষাক্ত দ্রব্য মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশকর্তার দাবি, ‘‘আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি। সমস্ত সম্ভবনা সামনে রেখে আমরা তদন্ত করছি।’’
অ্যাসিড আক্রান্ত তরুণীর মা দাবি করেন, জামাইয়ের যেন কঠোর শাস্তি হয়। তিনি বলেন, ‘‘মেয়ের জীবনটা নষ্ট করে দিল। আমি চাই জামাইয়ের কড়া শাস্তি হোক।’’
এ দিন ওই তরুণীর সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা রিপোর্ট পাওয়ার পরে পরিষ্কার জানা যাবে।
এ দিন আক্রান্ত ওই তরুণীকে দেখতে কিসানগঞ্জ জেলা হাসপাতালে দেখতে যান চাকুলিয়ার ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক আলি ইমরান রমজ (ভিক্টর)। তাঁর দাবি, ‘‘পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার জন্য এই ধরনের অপরাধ বাড়ছে।’’ শাসকদল অভিযুক্তদের আড়ালের চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেছেন ভিক্টর। গোয়ালপোখরের বিধায়ক তথা রাজ্যর পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানির পাল্টা দাবি, ‘‘ঘটনাটির সঙ্গে রাজনীতি যুক্ত নয়। মিছিমিছি বিতর্ক করাও ঠিক নয়।’’
শুক্রবার গোলাম রব্বানি বলেন, ‘‘ওই তরুণীর চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচের জন্য ব্লক প্রশাসনকে বলা হয়েছে।’’ ক্ষতিপূরণ বিষয়টিও ব্লক প্রশাসনকে দেখতে বলা হয়েছে।