বিক্ষোভ: শিলিগুড়িতে বিক্ষোভে পথে টোটো চালকেরা। সোমবার। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
শহরের সর্বত্র অবাধে ঘোরাফেরার জন্য ‘টেম্পোরারি আইডেনটিফিকেশন নম্বরে’র (টিন) দাবিতে কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসির নেতৃত্বে রাস্তায় নামলেন টোটো চালকেরা। সোমবার দুপুরে কয়েক হাজার টোটো চালক মহানন্দা সেতু লাগোয়া মোড় থেকে হিলকার্ট রোড হয়ে পুরসভা যান। সেখানে মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে স্মারকলিপি দেন। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যবস্থা না হলে শহরকে অচল করারও হুমকি দেন টোটো চালকেরা।
এ দিনের মিছিলের হিলকার্ট রোড, বর্ধমান রোড, সেবক রোড, জংশন এলাকায় ঘণ্টা দু’য়েকের জন্য যানজট হয়। তবে অফিস বা স্কুলের সময় মিছিল না হওয়ায় ভোগান্তি কম ছিল বলে ট্রাফিক পুলিশের দাবি। মিছিল শুরুতেই বহু টোটো থেকে জোর করে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে চালকদের একাংশের বিরুদ্ধে।
সব চালকদের টোটো মহানন্দা সেতুর নীচে রেখে মিছিলে যোগ দেওয়ানো হয়। হিলকার্ট রোডে টোটো চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও পুলিশের সামনেই বেশ কিছু টোটো নিয়েই চলে মিছিল। পুলিশের ধরপাকড় নিয়ে চলতে থাকে স্লোগান।
সেবক মোড় পেরোনর পরে চালকদের স্লোগানে চমকে ওঠেন অনেকেই। কংগ্রেসের সংগঠনের মিছিলে এসে তাঁরা তৃণমূলের আইএনটিইউসি লড়ছে-লড়বে বলেও স্লোগান দিয়ে বসেন। পরে একদল তাদের ধমক দিতেই স্লোগান পাল্টায়। টোটো চালকেরা জানান, আইএনটিইউসির ব্যানারে কর্মসূচি নেওয়া হয়। তাতে বিভিন্ন দল বা সংগঠনের সবাই যোগ দিয়েছিলেন। এতেই সামান্য স্লোগানের গোলমাল হয় বলে দাবি করা হয়েছে।
মাসখানেক ধরে শহরের বড় রাস্তায় টোটো অভিযানে নেমেছে ট্রাফিক পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক এবং গুরুত্বপূর্ণ জেলা রোডে টোটো চলাচল নিষিদ্ধ হয়েছে। টোটো চালকেরা জানান, জলপাইগুড়ি, দুর্গাপুর, আসানসোলের মত জায়গায় টিন নম্বর-সহ রুট থাকায় কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। পরিবহণ দফতর স্থায়ী নম্বর না দিলে কয়েক হাজার বেকার যুবক পথে বসবে। টোটোর নথিভুক্তকরণ ও পারমিট দেওয়ার প্রক্রিয়া রাজ্য চালু করেছিল। কিন্তু আদালতে মামলা হওয়ায় আপাতত তা কার্যকরী হয়নি।
আইএনটিইউসি-র জেলা সভাপতি অলোক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার, পুলিশের সঙ্গে কথা বলে পুরসভাকে ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্দিষ্ট নথিপত্র দেখিয়ে ওই নম্বর দেওয়া হোক। মেয়র বিষয়টি দেখবেন বলেছেন।’’ অশোকবাবু বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে আমরাও সহানুভূতিশীল। ১৫ ডিসেম্বর বৈঠক হবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডাকা হচ্ছে।’’