ট্যাঙ্কার থেকে ভয়াল আগুন

এলাকার বাসিন্দারা ছুটতে থাকে। ইন্ডিয়ান অয়েলের টার্মিনালেই আগুন লেগেছে গুজবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এনজেপি সহ শিলিগুড়িতেই। ডিপোতে আগুন লাগলে পুরো এলাকা ভস্মীভূত হয়ে পড়বে আশঙ্কায় বাড়ি ছেড়ে নেমে আসেন এক দু কিলোমিটার দূরের বাসিন্দারাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৭ ০৩:১৬
Share:

তৎপর: জোরকদমে চলছে আগুন নেভানোর কাজ। নিজস্ব চিত্র

ডিপোর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পেট্রোল ট্যাঙ্কার থেকে বিধ্বংসী আগুন ছড়াল নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) এলাকায়। শনিবার রাতে এনজেপিতে ইন্ডিয়ান অয়েলের ডিপোর সামনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরপর তিনটি তেল ভর্তি ট্যাঙ্কারে ফেটে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ে। ট্যাঙ্কারগুলি বিকট শব্দে ফেটে যায়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে উল্টো দিকের বস্তির দু’টি বাড়িতেও। আগুনের জেরে হুলস্থূল পড়ে যায় গোটা এলাকায়। ডিপোর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা তেল বোঝাই ট্রাকগুলি তাড়াতাড়ি এলাকা ছেড়ে বের হতে শুরু করে। তাতে ধাক্কা জেরে প্রচুর বাইক, অটোর ক্ষতি হয়।

Advertisement

এলাকার বাসিন্দারা ছুটতে থাকে। ইন্ডিয়ান অয়েলের টার্মিনালেই আগুন লেগেছে গুজবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এনজেপি সহ শিলিগুড়িতেই। ডিপোতে আগুন লাগলে পুরো এলাকা ভস্মীভূত হয়ে পড়বে আশঙ্কায় বাড়ি ছেড়ে নেমে আসেন এক দু কিলোমিটার দূরের বাসিন্দারাও। সেবক রোড, হিলকার্ট রোড়ের বহুতল থেকেও আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছিল। রাত আটটা নাগাদ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের চারটি ইঞ্জিন এবং ইন্ডিয়ান অয়েলের নিজস্ব বাহিনী প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টাতেও আগুন আয়ত্তে আনা যায়নি। গভীর রাত পর্যন্ত লেলিহান শিখা দেখা গিয়েছে আকাশে। লাগোয়া বস্তিতেও আগুন ছড়ায়। কয়েকটি ঘরবাড়ি পুড়ে যায়।

এলাকাটি পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবে’র বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। গৌতমবাবু বলেন, ‘‘প্রশাসন-পুলিশ-দমকল আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে বিষয়টি উদ্বেগের।’’

Advertisement

তেল ভরার পরে ডিপোর মূল গেটের সামনে কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে শতাধিক ট্যাঙ্কার। শনিবার রাতে সে সময়েই আগুন লেগে যায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দাঁড়িয়ে থাকা ট্যাঙ্কারগুলি থেকে তেল চুরির প্রবণতাও রয়েছে। তেমন ভাবেই আগুন ছড়িয়েছে কি না, পুলিশ ও দমকল খতিয়ে দেখছে। দমকল সূত্রের খবর, টার্মিনালের মূল গেটের পাশেই আগুন লাগে। আশেপাশের কয়েকটি বাড়িও আগুনে পুড়ে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। জল এবং ফোম দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এনজেপি স্টেশনেও। রেলের তরফে যাত্রীদের সর্তক করে দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন