কোটি টাকার সোনা আটক

নতুন করে ব্যাগ স্ক্যান করলে দেখা যায় পাঁচটি এক কেজির সোনার বাট রয়েছে ব্যাগে, যা আগে ছিল না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৯ ১৩:৩৬
Share:

বিমানবন্দরের টার্মিনালে ঢুকে এক্সরে মেশিনে লাগেজ ব্যাগ স্ক্যান করার পরে তা জমা দেওয়ার কথা নির্দিষ্ট বিমান সংস্থার কাউন্টারে। কিন্তু তা না করে এক যাত্রী হাঁটা লাগিয়েছিলেন শৌচাগারের দিকে। যা নজর এড়ায়নি সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার এক কর্মীর। তক্কে তক্কে ছিলেন তিনি। কিছুক্ষণ পরে শৌচাগার থেকে ফিরে কাউন্টারে ব্যাগ জমা দিতে আসেন ওই যাত্রী। গোটা ঘটনাটি সন্দেহজনক মনে হওয়ায়, তাঁকে আটকে খবর দেওয়া হয় শুল্ক দফতর ও নিরাপত্তারক্ষীদের। নতুন করে ব্যাগ স্ক্যান করলে দেখা যায় পাঁচটি এক কেজির সোনার বাট রয়েছে ব্যাগে, যা আগে ছিল না।

Advertisement

মঙ্গলবার বাগডোগরা বিমানবন্দরের এই ঘটনায় তখনই আটক করা হয় ওই যাত্রী বিনয় সোনিকে। দিল্লিনিবাসী ওই ব্যক্তি এ দিন দিল্লিতেই যাচ্ছিলেন। শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া সোনার বাজারমূল্য ১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা। সেদিন রাতেই অভিযুক্তকে হেফাজতে নেন শুল্ক দফতরের বিমানবন্দরের আধিকারিকেরা। প্রথমে সোনার নথিপত্র রয়েছে বলে দাবি করলেও বুধবার সকাল পর্যন্ত তা দেখাতে পারেননি বিনয়। শেষে বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এ দিন দুপুরে তোলা হয় শিলিগুড়ি এসিজেএম আদালতে। অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তাঁর আইনজীবী অখিল বিশ্বাস জানিয়েছেন।

শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের ধারণা, উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে ওই সোনা শিলিগুড়ি এনে দিল্লির দিকে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিনয় প্রথমে বড় ব্যাগটি স্ক্যান করান। সেখান থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার পরে তিনি চলে যান শৌচাগারে। সেখানে সঙ্গের হ্যান্ড ব্যাগেজ থেকে সোনার বাট বের করে বড় ব্যাগটির ভিতরে ঢুকিয়ে দেন। এরপরে তিনি ওই ব্যাগটি ছাড়পত্র-সহ বিমান সংস্থার ডেলিভারি সেকশনে জমা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ওই বিমান কর্মী ঘটনাটি লক্ষ্য না করলে বিনয় সফল হতেন বলেই জানাচ্ছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের একাংশ।

Advertisement

ধৃত বিনয় আধিকারিকদের জানিয়েছেন, তাঁর এক আত্মীয় ওই সোনার বাটগুলো নিয়ে যেতে বলেছিলেন। শিলিগুড়ির মহানন্দা সেতুর কাছে তাঁকে সোনা দেওয়া হয়। সেই আত্মীয়ের নামও বিনয় জানিয়েছেন। তাঁর খোঁজ চলছে। যদিও তদন্তকারীদের অনুমান, এটি সোনা পাচার চক্রের কাজ। মায়ানমার বা বাংলাদেশের দিক থেকে সোনা আনা হয়। পরে তা দিল্লি, মুম্বই নিয়ে গিয়ে চোরাবাজারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে ভুয়ো নথি তৈরি করে সেই সোনা বেশি দামে বিক্রি হয় বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন