গালির প্রতিবাদ, স্ত্রীর কানে কোপ

মদ্যপ অবস্থায় দৈনিক চলে অশ্লীল গালিগালাজ। প্রতিবাদ করায় স্ত্রীর কানে হাঁসুয়ার কোপ মারার অভিযোগ উঠলো স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হবিবপুর থানার চৌধুরী ডপাড়া গ্রামে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৬ ০১:২৫
Share:

মদ্যপ অবস্থায় দৈনিক চলে অশ্লীল গালিগালাজ। প্রতিবাদ করায় স্ত্রীর কানে হাঁসুয়ার কোপ মারার অভিযোগ উঠলো স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হবিবপুর থানার চৌধুরী ডপাড়া গ্রামে।

Advertisement

ঘটনায় আক্রান্ত ওই মহিলা গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী ফেরার রয়েছেন। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, আক্রান্ত মহিলার নাম টুসি বর্মন। অভিযুক্ত স্বামী স্বপন বর্মন পেশায় শ্রমিক। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ। তিনি বলেন, ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হবিবপুর থানার আইহো গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা স্বপন বর্মনের সঙ্গে বছর দশেক আগে বিয়ে হয় ওই গ্রামেরই টুসি বর্মনের। তাঁদের তিন মেয়ে রয়েছে। অভিযোগ, এ দিন রাত আটটা নাগাদ বাড়িতে স্ত্রীকে মদ্যপ অবস্থায় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করছিল স্বপন। টুসিদেবী প্রতিবাদ করায় হাঁসুয়া দিয়ে তাঁর বাম কানে কোপ মারে স্বপন। হাঁসুয়ার কোপে কানের একাংশ ঝুলে যায়। মহিলার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে গেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত স্বপন। স্থানীয়েরা ওই মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বুলবুলচন্ডী আর.এন.রায় গ্রামীণ হাসাপাতালে।

Advertisement

প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁকে স্থানান্তরিত করেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। টুসিদেবীর কানে আটটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। প্রচণ্ডে রক্তক্ষরণ হওয়ায় দুই ইউনিট রক্ত দিতে হয়েছে টুসিদেবীকে। তবে এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। এ দিনের ঘটনাটি হবিবপুর থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছেন টুসিদেবীর পরিবারের লোকেরা। তিনি বলেন, ‘‘মদের পিছনে টাকা খরচ করায় সংসার ঠিক মতো চালানো যায় না। মদ খেয়ে এসে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ দিতে থাকে। এদিন প্রতিবাদ করলে হাঁসুয়া দিয়ে আমাকে কোপ মারবে ভাবতেই পারছি না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement