Siliguri Couple Death

কাজে বেরিয়ে বাড়ি ফেরেননি দম্পতি, সকালে শিলিগুড়িতে নদীর ধারে বাবা ও মায়ের দেহ উদ্ধার করলেন দুই ভাই!

মৃতদের নাম তপন মণ্ডল এবং অনিমা মণ্ডল। ওই দম্পতির দুই পুত্রসন্তান। শনিবার রাত হয়ে যাওয়ার পরেও বাবা-মা কেউ বাড়ি না ফেরায় দুই ভাই তাঁদের খুঁজতে বার হন। কিন্তু কোথাও বাবা বা মায়ের খোঁজ না পেয়ে আশিঘর ফাঁড়ির পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:২৬
Share:

স্বামী-স্ত্রীর দেহ উদ্ধার ঘিরে শোরগোল শিলিগুড়িতে। —প্রতীকী চিত্র।

স্বামী রাজমিস্ত্রি। স্ত্রী কারখানার কর্মী। অন্যান্য দিনের মতো শনিবার সকালেও কাজে বেরিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সন্ধ্যে গড়িয়ে রাত পার হয়ে গেলেও দম্পতির কেউ বাড়ি ফেরেননি। রবিবার সকালে তাঁদের দেহ উদ্ধার হল বাড়ির অদূরে। এ নিয়ে শোরগোল শিলিগুড়ির ভোলানাথ পাড়ায়। খুন না আত্মহত্যা, এখনও পরিষ্কার নয়। তদন্তে আশিঘর ফাঁড়ির পুলিশ।

Advertisement

মৃতদের নাম তপন মণ্ডল এবং অনিমা মণ্ডল। ওই দম্পতির দুই পুত্রসন্তান। শনিবার রাত হয়ে যাওয়ার পরেও বাবা-মা কেউ বাড়ি না ফেরায় দুই ভাই তাঁদের খুঁজতে বার হন। কিন্তু কোথাও বাবা বা মায়ের খোঁজ না পেয়ে আশিঘর ফাঁড়ির পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা।

ভোর হতেই আবার বাবা-মায়ের খোঁজ নিতে বার হন। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সাহু নদীর ধারে ছুটে যান তাঁরা। দেখেন, বাবার সাইকেলটি পড়ে রয়েছে। আর কিছুটা এগিয়ে আঁতকে ওঠেন দুই ভাই। তাঁরা দেখেন, নদীর ধারে মায়ের গলাকাটা দেহ পড়ে রয়েছে। নদীর ধারে একটি গাছে পাওয়া যায় বাবার ঝুলন্ত দেহ। মুহূর্তের মধ্যে শোরগোল শুরু হয়ে যায় এলাকায়। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারা দুটি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে।

Advertisement

সদ্য বাবা-মাকে হারানো সুজন রায় বলেন, ‘‘প্রতিদিন দু’জনে কাজ সেরে বাজার করে সন্ধ্যার মধ্যে বাড়ি ফেরে। গতকাল রাতে না ফেরায় আমরা থানায় যোগাযোগ করি, নিজেরাও খোঁজাখুঁজি শুরু করি। কিন্তু পাইনি। তার পর আজ (রবিবার) ওই অবস্থায়।’’ তাঁর দাবি, পরিবারের কোনও বিবাদ ছিল না। বাবা-মায়ের মধ্যেও কোনও গোলমাল ছিল না। পুলিশের কাছে সঠিক তদন্ত চেয়েছেন তিনি।

শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি রাকেশ সিংহের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘‘ঘটনার তদন্ত চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement