উত্তরবঙ্গে বড় ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করতে এ বার জলপাইগুড়ির স্পোর্টস ভিলেজের কথাও ভাবছে আইএফএ (ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন)। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ, বুধবার ওই মাঠ পরিদর্শনে যাবেন আইএফএ’র সভাপতি সুব্রত দত্ত।
শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের পাশাপাশি দ্বিতীয় জায়গা হিসাবে এই মাঠকে আইএফএ বেছে নিতে চাইছে। সম্প্রতি সেখানে আন্তর্জাতিক মানের ইন্ডোর স্টেডিয়াম উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই স্পোর্টস ভিলেজের নাম দিয়েছেন ‘বিশ্ববঙ্গ ক্রীড়াঙ্গন’। উত্তরবঙ্গে খেলাধূলার উন্নয়নে এই স্টেডিয়াম বড় ভূমিকা নেবে বলে তিনি দাবি করেন। এখানে যাতে বড় খেলার আয়োজন করা হয় সে জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করার কথাও জানান। ইন্ডোর স্টেডিয়ামের পর এখন মাঠ সংস্কার এবং স্টেডিয়ামের অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করে স্পোর্টস ভিলেজকে সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর। তা ছাড়া জলপাইগুড়িতে ফুটলের জনপ্রিয়তা রয়েছে। অতীতে মণিলাল ঘটক, পি কে বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ফুটবলাররা জলপাইগুড়ি থেকেই উঠে এসেছেন।
সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘ওই মাঠ দেখতে যাব। মাঠ, স্টেডিয়াম দেখার পর সেখানে বড় ধরনের কোনও ম্যাচ করানো যাবে কি না তা বলতে পারব।’’ জাতীয় এবং আন্তজার্তিক ফুটবল ম্যাচের জন্য মাঠের মাপ এবং কী ধরনের ব্যবস্থা হওয়া উচিত ফিফার গাইড লাইন মেনে সেই মতো মাঠ তৈরির কাজ হচ্ছে বলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘ফিফার গাইড লাইন মেনেই মাঠ এবং গ্যালারির পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। ওই কাজ সম্পূর্ণ হলে উত্তরবঙ্গে খেলাধূলার জন্য এই মাঠ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।’’
কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে আইলিগের দ্বিতীয় ডিভিশনের খেলা চলছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম ছাড়া কিছু ম্যাচ দেওয়া হয়েছে রানিডাঙায় এসএসবি মাঠে। কিন্তু এসএসবি মাঠ ঠিক না থাকায় ম্যাচ কমিশনার অসন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রথম দুই দিন চারটি ম্যাচ ওই মাঠে করানো সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় মাঠও নেই। মাঠ নিয়ে তাই সমস্যা রয়েইছে। জলপাইগুড়ির স্পোর্টস ভিলেজ উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারলে এ ধরনের খেলার আয়োজনে তা সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তা নিয়ে উৎসাহী জলপাইগুড়ির ক্রীড়া মহল। জেলা ক্রীড়া পরিষদের সচিব অঞ্জন সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘এখানে সব ধরনের ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করতে আইএফএ উদ্যোগী হলে তা উত্তরবঙ্গের ফুটবলের উন্নতিতে সহায়ক হবে। তা ছাড়া জলপাইগুড়িতেও ফুটবলে নতুন জোয়ার আসবে।’’
আইএফএ’র সহসভাপতি তথা অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইঅফঅফ)-এর কোঅডির্নেটর দেবজ্যোতি মুখোপাধ্যায় জানান, উত্তরবঙ্গে ফুটবলের উন্নয়নের কথা ভেবেই ওই স্টেডিয়াম দেখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভাপতি ওই স্টেডিয়াম ঘুরে দেখবেন। প্রয়োজনীয় কী কী ব্যবস্থা সেখানে রয়েছে, কী কী দরকার তা ওই স্টেডিয়াম না দেখে কিছু বলা যাবে না। তবে উত্তরবঙ্গে খেলাধূলার উন্নয়নের কথা ভেবে আইএফএ বিষয়টি নিয়ে ভাবছে।