ফুটপাথ দখল নিয়ে ফের ক্ষোভ

মালদহের রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনের সামনে ফুটপাথে দোকান ঘর তৈরির প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছেন মিশন কর্তৃপক্ষের। শুক্রবার স্কুল ছুটির পর বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মিশনের মহারাজ স্বামী তাপহরানন্দ। এ দিনের বৈঠকে শতাধিক অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন। স্বামী তাপহরানন্দ বলেন, ‘‘ফুটপাথের মধ্যে তৈরি করা দোকান ঘরগুলি উচ্ছেদ করা না হলে, আমরা আন্দোলন করব। আমাদের এই আন্দোলনে অভিভাবকেরা পাশে থাকবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৫ ০২:৪৯
Share:

মালদহের রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনের সামনে ফুটপাথে দোকান ঘর তৈরির প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছেন মিশন কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

শুক্রবার স্কুল ছুটির পর বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মিশনের মহারাজ স্বামী তাপহরানন্দ। এ দিনের বৈঠকে শতাধিক অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন। স্বামী তাপহরানন্দ বলেন, ‘‘ফুটপাথের মধ্যে তৈরি করা দোকান ঘরগুলি উচ্ছেদ করা না হলে, আমরা আন্দোলন করব। আমাদের এই আন্দোলনে অভিভাবকেরা পাশে থাকবেন। মিছিল করে গিয়ে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানাব। তাতে কাজ না হলে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাব। কোনওমতেই ফুটপাথ দখল করে দোকান করতে দেব না।’’ তাঁর কথায়, ‘‘মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী শুধু ব্যবসায়ীদের মন্ত্রী নন। উনি আমাদেরও মন্ত্রী। তাই আমাদের সমস্যা নিয়ে মন্ত্রীর ভাবা দরকার।’’ এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, ‘‘মিশনের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। আমি ওই ব্যবসায়ীদের মাস তিনেকের জন্য বসতে বলেছি। পরে তাদের তুলে দেওয়া হবে। আর স্কুল চলাকালীন যাতে যানজট না হয়, সেই জন্য এখানে ট্রাফিকের ব্যবস্থাও করা হবে বলে আমি মিশন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’

প্রসঙ্গত, গত ১৭ মে থেকে মালদহ রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনের ফুটপাতের সামনে দোকান ঘর তৈরি নিয়ে মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর সঙ্গে মিশন কর্তৃপক্ষের চাপান-উতোর চলছে। ওইদিন তিনজন ব্যবসায়ী ফুটপাথের উপরে দোকান ঘর তৈরির কাজ শুরু করলে মিশনের মহারাজ স্বামী তাপহরানন্দ প্রতিবাদ করেন কিছুক্ষণের জন্য কাজ বন্ধ হয়ে গেলে পরে মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুবাবু অনুগামীদের নিয়ে এলাকায় গিয়ে ওই ব্যবসায়ীদের দোকানঘর তৈরির নির্দেশ দেন।

Advertisement

মিশন কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রথমে মিশন রোডে একটি দোকান ছিল। এখন দশটি দোকান রয়েছে। প্রথমে খাতা, কলম ও শিশুদের খাবার বিক্রি করা হলেও এখন বিভিন্ন নেশার সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement