School Reopening

Malda School: প্রধান শিক্ষক নেই তাই বন্ধ পড়াশোনা, বিক্ষোভ স্কুলে

মাদ্রাসা ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে কন্যাশ্রী প্রকল্পে শতাধিক ভুয়ো নাম ঢোকানোর অভিযোগ উঠেছিল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

Advertisement

বাপি মজুমদার 

হরিশ্চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

এ দিন থেকে শুরু হয়েছে পাড়ায় শিক্ষালয়। সেখানেই মিড-ডে মিলের রান্না করা খাবার পড়ুয়াদের দিতে হবে বলে নির্দেশ রয়েছে। পাড়ায় শিক্ষালয়ে হাজির ছিল পড়ুয়ারা। একইসঙ্গে অষ্টম থেকে দ্বাদশের পড়ুয়ারা হাজির হয়েছিল স্কুলে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক গরহাজির। গরহাজির শিক্ষকদের একাংশও। ফলে পড়াশোনার পাশাপাশি চালু হল না মিড-ডে মিলও। ক্ষোভে বই-খাতা মাটিতে রেখে ফটকের সামনে বিক্ষোভ শুরু করল পড়ুয়ারা। সঙ্গ দিলেন অভিভাবকদেরও একাংশ। সোমবার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের তালবাংরুয়া হাই মাদ্রাসার ঘটনা। স্কুলে গরহাজির, কন্যাশ্রী প্রকল্পে কাটমানি দাবি, ট্যাব বিলিকে ঘিরে বেনিয়মের অভিযোগ ছিলই। কিন্তু এ দিন সরকারি বিধি অমান্য করায় ফের নতুন করে প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিতর্ক ছড়িয়েছে।

Advertisement

মাদ্রাসা ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে কন্যাশ্রী প্রকল্পে শতাধিক ভুয়ো নাম ঢোকানোর অভিযোগ উঠেছিল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। দ্বাদশের পড়ুয়াদের ট্যাব বিলিকে ঘিরেও বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। আরও একাধিক অভিযোগ ওঠায় অভিভাবকদের কয়েক জন আদালতের দ্বারস্থ হন। সম্প্রতি আদালত শিক্ষা দফতরকে তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে।

দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া মহম্মদ খায়রুল আলম বলেন, ‘‘প্রধান শিক্ষক আসেন না। ক্লাস হয় না। আমরা অনেকেই এখনও ট্যাব পাইনি।’’ নথিতে স্বাক্ষর করতে হলে প্রধান শিক্ষকের বাড়ি যেতে হয় বলে জানান একাদশ শ্রেণির ছাত্রি জিন্নাতুন নেশা। মাদ্রাসার শিক্ষক প্রদ্যুত সিংহ বলেন, ‘‘অভিভাবকদের ক্ষোভ সঙ্গত। প্রধান শিক্ষক ছাড়া কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলে। প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সমস্যা মেটেনি।’’

Advertisement

অভিভাবক তজিবুর রহমান বলেন, ‘‘প্রধান শিক্ষক দুর্নীতিগ্রস্থ। উনি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেরও পরোয়া করেন না।’’ প্রধান শিক্ষক খাইরুল আলম বলেন, ‘‘দুর্নীতির অভিযোগ বিচারাধীন। আর এ দিনের ঘটনা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।’’ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক) উদয়ন ভৌমিক বলেন, ‘‘এ দিন কেন নির্দেশ মানা হল না তা খোঁজ নিচ্ছি। আর দুর্নীতির অভিযোগে মামলায় আদালত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। নির্দেশ মেনেই কাজ করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন