চা বাগানের অবস্থার উন্নতি ও শ্রমিকদের বকেয়া প্রাপ্তি নিশ্চিত করার দাবি তুলল চা বাগান সংগ্রাম সমিতি। শুক্রবার কলকাতায় তাঁরা জানান, বাগানগুলি ঠিক ভাবে চালানোর ব্যাপারে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার উদাসীন। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই বাগানগুলিতে শ্রমিকেরা মারা যাচ্ছেন। রাজ্য কিছু করছে না।’’ সমাজকর্মী বোলান গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘ওই এলাকায় নারী পাচারও বাড়ছে।’’ তিনি বলেন, রাজ্য সরকার চা বাগান নিয়ে নতুন ডিরেক্টরেট করেছে, কিন্তু তাতে শ্রমিকদের সমস্যার কতটা সুরাহা হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। শিক্ষাবিদ মীরাতুন নাহারের কথায়, ‘‘চা বাগানগুলি বাম আমল থেকেই ধুঁকতে শুরু করে। বর্তমান সরকারও তা নিয়ে কিছু করছে না।’’ বোলান বলেন, ‘‘ওই ডিরেক্টরটের মাথায় কেন তৃণমূলেরই এক নেতাকে বসানো হল?’’ সংগঠনের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে তাঁরা একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন শঙ্খ ঘোষ, অপর্ণা সেন, সুমিত সরকার, তনিকা সরকার, বিভাস চক্রবর্তী, পল্লব কীর্তনীয়া, শ্রীজাত-সহ লেখক, সমাজসেবীরা। সই করেছেন গোর্খা লিগের নেতা প্রতাপ খাতিও। তবে নতুন ডিরেক্টরেটের প্রধান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘চা বাগানের বিষয়টি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী ওয়াকিবহাল। চা শ্রমিকদের কষ্ট দূর করা শুধু নয়, চা শিল্পের সামগ্রিক উন্নতির জন্য তিনি বদ্ধপরিকর। সব দিক খতিয়ে দেখেই তিনি পদক্ষেপ করছেন।’’