পিকনিকে গোলমালের রেশ ছড়ালো দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে৷ যার জেরে দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র দফতরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে৷ দলের এক নেতার বা়ড়িতেও হামলা চলানো হয় বলে অভিযোগ৷ দু’পক্ষের হাতাহাতিতে জখম হন একজন৷
রবিবার রাতে জলপাইগুড়ির বিবেকানন্দপল্লির ঘটনা। তৃণমূল ও আইএনটিটিইউসি-র অসংগঠিত শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের অফিসটি রাস্তার দু’পাশে মুখোমুখি অবস্থিত৷ এর মধ্যে শ্রমিক সংগঠনের অফিসটি তৈরি হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী হারাধন সরকারের একটি দোকানে।৷
স্থানীয় বুথ সভাপতি গোকুল রায়-সহ দলের নেতাদের একটা অংশ তৃণমূলের পার্টি অফিসে বসলেও, তৃণমূলের অন্য একটি অংশ শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে শ্রমিক সংগঠনের অফিসে বসেন৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’টি অফিসে বসা নেতাদের মধ্যে রেষারেষি অনেকদিনের৷ রবিবার এলাকার কিছু যুবক তিস্তা পাড়ে পিকনিকে যান৷ যেখানে দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকরাও ছিলেন৷ সেখানেই দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বচসা হয়। বাকিরা তখনকার মতো দু’পক্ষকে নিরস্ত করলেও রাতে এলাকায় ফিরতেই ফের বচসা শুরু হয়৷ অভিযোগ, সেসময় হারাধনের ছেলে জয়ন্ত সরকার শাসক গোষ্ঠীর কর্মী শম্ভু বাছারের ছেলে জয়গোপাল বাছারকে মারধর করে৷ গোপালের সঙ্গে থাকা তৃণমূল কর্মীরা শ্রমিক সংগঠনের দফতরে হামলা করে৷ হারাধনবাবুর বাড়িতেও হামলা করা হয় বলে অভিযোগ৷
অসংগঠিত শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা বিকাশ মালাকার ঘটনায় সরাসরি গোকুল রায়ের পার্টি অফিসে থাকা তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের দিকেই অভিযোগে আঙুল তুলেছেন৷ তার অভিযোগ, শ্রমিক সংগঠনের অফিসটি দখল করতেই রবিবারের হামলার ঘটনা।
যদিও অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে গোকুলবাবুর পাল্টা বলেন, ‘‘পিকনিকে বচসার জেরে এই মারধর ও হামলার ঘটনা হয়েছে৷ এর সঙ্গে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও সম্পর্ক নেই৷’’