গৌড়বঙ্গে তদন্ত কমিটি

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে বিত্ত আধিকারিকের পদে যোগ দেন মহম্মদ জাহির হোসেন। তবে তাঁর বিত্ত আধিকারিকের পদে থাকা নিয়ে একাধিকবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৭ ০১:৫২
Share:

আর্থিক অনিয়ম সহ একাধিক অভিযোগে ছুটিতে পাঠানো হল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিত্ত আধিকারিক মহম্মদ জাহির হোসেনকে। উচ্চ শিক্ষা দফতরের মতোই পৃথক ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে এক্সজিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সদস্যেরা। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপালচন্দ্র মিশ্র বলেন, ‘‘বিত্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁকে আপাতত ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।’’ তদন্তের স্বার্থে এখনই পরিস্কার করে কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন গোপাল বাবু। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন আধিকারিক চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন মহম্মদ জাহির হোসেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে বিত্ত আধিকারিকের পদে যোগ দেন মহম্মদ জাহির হোসেন। তবে তাঁর বিত্ত আধিকারিকের পদে থাকা নিয়ে একাধিকবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সম্প্রতি, মাস খানেক আগেই মহম্মদ জাহির হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উচ্চ শিক্ষা দফতর। উচ্চ শিক্ষা দফতরের নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করে দেখছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এরই মাঝে এ বার তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক, কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, নিয়ম মেনে তিনি প্রভিডেন্ট ফান্ড জমা দিতেন না। বিভিন্ন সংস্থাকে দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চেক বাউন্স হয়ে যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানের খরচের হিসেব নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। শুধু দুর্নীতির অভিযোগই নয়, তিনি কর্মীদের সঙ্গে ব্যবহারও খুব খারাপ করেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ে এগজিকিউটিভ কাউন্সিল কমিটির বৈঠকে বিত্ত আধিকারিকের বিষয় নিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ আলোচনা হয়। এক্সজিকিউটিভ কাউন্সিল কমিটিতে উপাচার্য গোপালবাবু ছাড়াও আট জন রয়েছেন। ওই দিন সাত জন হাজির ছিলেন। বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, বিত্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পৃথক ভাবে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। পুরুলিয়ার এক শিক্ষাবিদ সেই তদন্ত করে দেখবেন। জাহির হোসেন বলেন, আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। তদন্ত হলেই প্রকৃত ঘটনা সামনে আসবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন