খুনের ঘটনার সঠিক তদন্তের জন্য সিআইডি তদন্ত প্রয়োজন। শনিবারে গোয়ালপোখরে নিহত পরিবারের বাড়ি থেকে ঘুরে এসে এমনটাই দাবি করেন রায়গঞ্জ লোকসভার সাংসদ মহম্মদ সেলিম।
এ দিন দুপুরে কিসানগঞ্জে ট্রেন থেকে নেমে গোয়ালপোখরের চুড়াকুটি এলাকাতে নিহত মহম্মদ তাহিরুদ্দিনের (৩০) বাড়িতে যান। সেখানে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন মহম্মদ সেলিম।
সাংসদ মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘তাহিরুদ্দিন এলাকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে খুন হয়েছেন। এর পেছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে.দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে পুলিশের সঙ্গে দেখা করবেন কর্মীরা।’’ তাঁর কথায়, পুলিশ নিয়ম মেনে দেহ সেখান থেকে উদ্ধার করেনি। পুলিশ সঠিক তদন্ত করছে না। মামলটি সিআইডির হাতে হস্তান্তর করার প্রয়োজন।
নিখোঁজ থাকার পর গত ২১ নভেম্বর গোয়ালপোখর থানার চিড়িকুটি এলাকায় পড়শির বাড়ি থেকে মহম্মদ তাহিরুদ্দিন নামে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। নিহতের পরিবারের লোক ও এলাকার সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, ওই যুবক তাহিরুদ্দিন এলাকাতে জোটের হয়েই এলাকার জব কার্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিল। বাম নেতারা দাবি করেছেন, এমনকি সেই কারণেই তাঁকে কুপিয়ে খুন করেছে এলাকার তৃণমূলের সদস্যরা।
যদিও ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মহম্মদ ফকিরকে গ্রেফতার করে। তবে এরপরই মহম্মদ ফকিরের স্ত্রীকেও গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীকে উত্যক্ত করায় তাঁর স্ত্রী ও ফকির মিলেই ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। এমনকি খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে নেয়।
দেহটি নিজের বাড়িতেই লুকানোর চেষ্টা করেছিল ধৃত যুবক। কেবলমাত্র খুন করার জন্য পঞ্জাব থেকে বাড়িতে এসেছিল সে। ধৃত যুবকের হাতের আঙুলে কামড়ের দাগও মিলেছে বলে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকেরা জানিয়েছেন।
তবে পুলিশ জানিয়েছে অন্য কথা। ইসলামপুরের এসডিপিও প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ‘‘মহিলা ঘটিত কারণেই খুনের ঘটনা। ধৃতেরা খুনের ঘটনায় পুরো বিষয়টি স্বীকার করেছে। তবে তদন্তে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। সে সব খতিেয় দেখা হবে। তারপরই পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে।’’