রেলের বেঁধে দেওয়া দামের থেকে অন্তত তিনগুণ বেশি টাকায় খাবার বিক্রি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক আইআরসিটি কর্মী।
ক্ষুব্ধ যাত্রীরা টিকিট পরীক্ষক এবং আরপিএফ অফিসারকে ডেকে আনেন। দোষ কবুল করে অতিরিক্ত টাকা ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয় ওই কর্মী। পুরো ঘটনাটি ভিডিওতে তুলে ধরেছিলেন এক যাত্রী। সেটিই গত দু’দিন ধরে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ‘ভাইরাল’ হয়ে পড়ে।
সেই ঘটনা জানতে পেরেই এ বার নড়েচড়ে বসল রেল কর্তৃপক্ষও। পুরো ঘটনার কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে আইআরসিটিসির সংশ্লিষ্ট সব অফিসারদের কাছে। যাত্রীদের অভিযোগ, মালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি লাইনে এই ধরণের প্রবণতা বেশি। যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেটি মালদহ স্টেশন ছাড়ানোর পরে তোলা বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনাটি গত ১৯ জুন সোমবার রাতের। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ভিডিওটির উৎস খুঁজে জানা গেল ভিডিওটি তোলা কোন্নগরের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ ঘোষের।
বেসরকারি সংস্থার কর্মী প্রসেনজিৎবাবু সহকর্মীদের সঙ্গে সরাইঘাট এক্সপ্রেসে চেপে হওড়া থেকে গুয়াহাটি রওনা দেন। ট্রেন ছাড়ার পরেই বাতানুকূল তৃতীয় শ্রেণির কামরা বি ৩-এ আইআরসিটিসি কর্মী এসে খাবারের বরাত নেন। প্রসেনজিৎবাবুর অভিযোগ, একটি বেসরকারি সংস্থার মেনু কার্ড দেখিয়ে খাবারের অর্ডার নেওয়া হয়। একটি নিরামিষ থালি তাদের থেকে ১৫০ টাকা নেওয়া হয়।
কর্মীটি চলে যাওয়ার পরে কয়েকজন যাত্রী ইন্টারনেট থেকে জানতে পারেন আইআরসিটিসির নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী একটি নিরামিষ থালির দাম ৫৫ টাকা। রাতের বেলায় খাবার দিতে আসার পরে কর্মীটিকে চেপে ধরতেই অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়া হয় বলে দাবি।
প্রসেনজিৎবাবু বলেন, ‘‘এ ভাবেই সকলকে বোকা বানায় কর্মীরা। আইআরসিটিসির কর্মীরা বেসরকারি রেস্তোরার মেনু কার্ড দেখিয়ে চড়া দাম নেয় কিন্তু আইআরসিটিসির তৈরি খাবারই দেওয়া হয়।’’
ভিডিওটি ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে প্রসেনজিৎবাবু অভিযোগ, ‘‘এর আগেও এমন একাধিকবার হয়েছে, অভিযোগ জানিয়েও ফল মেলেনি। তাই এ বার সকলকে দেখার জন্য ফেসবুকে দিয়েছি।’’ ইতিমধ্যে ভিডিওটি চার হাজারেরও বেশি ‘লাইক’ পেয়েছে, অসংখ্য ‘কমেন্ট’।
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক প্রণবজ্যোতি শর্মা বলেন, ‘‘ভিডিওটি দেখেছি। বিভাগীয় পদক্ষেপ হয়েছে। এমন প্রবণতা কড়া হাতে রোখা হবে।’’