উদ্ধার: শতাধিক সাপ।নিজস্ব চিত্র
ট্রেনের কামরা থেকে উদ্ধার হল বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর বিষধর সাপ। শনিবার দুপুরে মালদহ টাউন স্টেশনে ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ওই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি রেলপুলিশ। প্রাথমিক ভাবে রেল পুলিশের অনুমান, সাপগুলো পাচারের পরিকল্পনা ছিল।
রেল পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস মালদহ টাউন স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পোঁছয়। সে সময় অভিযান চালিয়ে ট্রেনের সাধারণ কামরা থেকে পাঁচটি কাপড়ের পুঁটলি এবং একটি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার হয়। সেগুলো খুলতেই কিলবিল করতে করতে বেরোতে শুরু করে সাপ। সেগুলোকে তুলে দেওয়া হয় বন দফতরের কর্তাদের হাতে।
এ দিকে সাপ উৎসাহীদের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় রেল পুলিশকে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সবুজ রঙের শতাধিক বাতাচিতি, ১২টি পাহাড়ি বাতাচিতি, দশটি কোবরা এবং দু’টি শঙ্খচূড় উদ্ধার হয়। এতে উদ্বিগ্ন এক বনকর্তা বলেন, ‘‘সাপ পাচারের এমন ঘটনা নজিরবিহীন। পাচারকারীরা সাপের বিষের পরিবর্তে বিষধর সাপ পাচারেই জোর দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।’’
রেলপথে বন্যপ্রাণ পাচার নতুন নয়। পাঁচ দিন আগেই টাউন স্টেশনেই দিল্লি-মালদহগামী এক্সপ্রেসের জেনারেল কামরা থেকে উদ্ধার হয় ৫৫০টি কচ্ছপ। তবে সাপ উদ্ধারে হইচই পড়ে গিয়েছে যাত্রী মহলে। বন দফতরের এক কর্তা বলেন, “কামরার নির্দিষ্ট স্থানে ব্যাগ রেখে অন্যত্র বসে থাকছে কারবারিরা। তাতে অধিকাংশ সময় বন্যপ্রাণ উদ্ধার হলেও পার পেয়ে যাচ্ছে কারবারিরা।”
যে ট্রেন থেকে সাপ উদ্ধার হয় তার যাত্রী ইসলামপুরের বাসিন্দা সুদেষ্ণা পোদ্দার বলেন, “কলেজে পড়ি। ট্রেনেই যাতায়াত করতে হয়। রেলপুলিশের উচিত ট্রেনে বাড়তি নজরদারি করা।” জিআরপির আইসি ভাস্কর প্রধান বলেন, “তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’