সংঘর্ষে উত্তপ্ত কিরণচন্দ্র বাগান

ঘটনার পর বাগানের দফতর লক্ষ করে ঢিল বৃষ্টি শুরু হয়। ঢিলের ঘায়ে শ্রমিক পরিবারের এক কিশোরী আহত হয়েছে। তাকেও মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। শ’পাঁচেক শ্রমিক দফতরে সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ম্যানেজারকে ঘুষিও মারা হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৭ ০২:৪৩
Share:

ভাঙচুর: বাগানে ভাঙচুর হওয়া মোটরবাইক। নিজস্ব চিত্র

বাগানের এক শ্রমিক সুপারভাইজারকে মারধরের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নকশালবাড়ির কিরণচন্দ্র চা বাগান। ম্যানেজারকে মারধর, দফতর ভাঙচুর, চারটি বাইক গুঁড়িয়ে দিয়ে আগুন ধরানোর চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাতের ঘটনা। শ্রমিকদের অভিযোগ, বাগানের ম্যানেজার কাজ নিয়ে বকাবকির মাঝে পরেশ কুরনি নামের ওই সুপারভাইজারকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। এতে উত্তেজনা ছডায়। বুধুরাম ওঁরাও নামের আরেক শ্রমিক প্রতিবাদ করা তাঁকে মারধর করা হয়। পরেশকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

ঘটনার পর বাগানের দফতর লক্ষ করে ঢিল বৃষ্টি শুরু হয়। ঢিলের ঘায়ে শ্রমিক পরিবারের এক কিশোরী আহত হয়েছে। তাকেও মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। শ’পাঁচেক শ্রমিক দফতরে সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ম্যানেজারকে ঘুষিও মারা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করে। এক সময় ম্যানেজারকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে পুলিশকেও ধাক্কাধাক্কি করা হয়। দার্জিলিং জেলা পুলিশের ডিএসপি (গ্রামীণ) সুরজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘এলাকার বড় বাহিনী পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি থেকে নকশালবাড়ির দিকে যাওয়ার ৩১-সি জাতীয় সড়কের পাশেই বহু পুরানো কিরণচন্দ্র চা বাগান। বাগানের সামনে নতুন একটি ফ্যাক্টরিও তৈরি হচ্ছে। সেখানকার একদল কর্মীর সঙ্গে শ্রমিকদের গোলমাল হয়। ম্যানেজার মাঝে গেলে পরেশের সঙ্গেও বচসা শুরু হয়। তার পরেই তাঁরে লাঠি দিয়ে ম্যানেজার পেটাতে থাকে বলে অভিযোগ। বাগানের তৃণমূল এবং আদিবাসী বিকাশ পরিষদের ইউনিয়ন রয়েছে। দুই সংগঠনের নেতারাও বাগানে যান। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাঁদেরকেও বেগ পেতে হয়। বাগানের মালিক অজিত অগ্রবাল বলেন, ‘‘পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়েছে। ম্যানেজারকে মারা হয়েছে। ভাঙচুর হচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসনকে বিষয়টি দেখতে বলেছি। আলোচনায় বিষয়টি মিটত। তা না করে শ্রমিকেরা আইন নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছেন।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন