কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের আট কাউন্সিলারকে বাদ দিয়েই ইংরেজবাজার পুরসভায় চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সহ কাউন্সিলারদের মধ্যে দফতর বন্টন করা হল। দফতর বন্টনের চিঠি গত ৫ তারিখ ছাড়া হলেও সোমবার তা কাউন্সিলারদের কাছে পৌঁছয়। তা নিয়ে কয়েকজন কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ জানিয়েছেন।
পুরপ্রধান হিসেবে নীহাররঞ্জন ঘোষ শপথ নিয়েছিলেন ১৭ জানুয়ারি। ১৫ ফেব্রুয়ারি চৈতালি ঘোষ সরকার, আশিস কুণ্ডু, অম্লান ভাদুড়ি ও সুমালা অগ্রবাল এই চারজন কাউন্সিলার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল পদে শপথ নেন।
এর পর প্রায় দু’মাস কেটে গেলেও তাঁদের মধ্যে দফতর বন্টন না হওয়ায় নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। কানাঘুষো রয়েছে, দফতর বিলি নিয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলরদের মধ্যে অসন্তোষ থাকাতেই এত দিন বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখা হয়। অন্যান্য কাউন্সিলারদেরও দফতর দেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত এ মাসের ৫ তারিখ ওই চার জন চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলরকে দফতর বন্টন করার পাশাপাশি বাকি আরও আটজন কাউন্সিলরকে দফতর দেওয়া হয়েছে।
পুরসভার পক্ষ থেকে এ দিনই কাউন্সিলরদের কাছে সেই দফতর বন্টনের চিঠি পৌঁছয়। তাতে চৈতালীদেবীকে মিউটেশন, অম্লানবাবুকে পূর্ত, আশিসবাবুকে সমস্ত প্রকল্প ও সুমালাদেবীকে পার্কিং, সৌন্দর্যায়ন প্রভৃতি দফতর দেওয়া হয়। বাকি আটজনের মধ্যে শুভময় বসুকে স্বাস্থ্য, শুভদীপ স্যান্যাল ও শম্পা সাহা বসাককে জঞ্জাল দফতর ভাগ করে দেওয়া হয়। দফতর নিয়ে কাউন্সিলরদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভও রয়েছে।
কৃষ্ণেন্দুবাবু ঘনিষ্ঠ আট কাউন্সিলারের কাউকেই কোনও দফতর অবশ্য দেওয়া হয়নি। পুরপ্রধান নীহারবাবু বলেন, ‘‘ওই আট কাউন্সিলার আমাদের কাছে দফতরের ব্যাপারে কোনও আবেদন করেননি বা যোগাযোগ করেননি। আমরা তবুও প্রায় দু’মাস অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু কেউ তা না করায় আর দেওয়া হয়নি।’’ কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন,‘‘আমরা কী ভিক্ষা চাইব নাকি!’’
এ দিকে এতদিন পর কেন দফতর বন্টন তার উত্তরে নীহারবাবু দফতর ছুটি ছিল বলে যুক্তি দেখিয়েছেন।