Heavy Rain

Darjeeling Landslide: দার্জিলিঙে দু’দিনে ৪০০ মিমি বৃষ্টি, বহু জায়গায় ধস, জাতীয় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

টানা বৃষ্টিতে দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নেমেছে। তার ফলে গাড়ি চলাচল বন্ধ। বিকল্প রোহিণী রোড ধরে চলছে গাড়ি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২১ ১০:৩৬
Share:

বিভিন্ন রাস্তায় ধস নেমে বিপর্যস্ত সড়ক যোগাযোগ নিজস্ব চিত্র।

প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দার্জিলিং। পাহাড়ে বহু জায়গায় ধস নেমেছে। তার ফলে দার্জিলিঙের সঙ্গে অনেক জায়গার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এমনকি ধস নেমে বন্ধ হয়ে গিয়েছে জাতীয় সড়ক পরিবহণ। বুধবারও দিনভর ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তার ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Advertisement

টানা বৃষ্টিতে দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নেমেছে। তার ফলে গাড়ি চলাচল বন্ধ। বিকল্প রোহিণী রোড ধরে চলছে গাড়ি। ত্রিবেণীর কাছে রাস্তার উপর দিয়ে বইছে তিস্তার জল। চিত্রেতে ধস নেমে রাস্তায় বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। লাভা থেকে গরুবাথান যাওয়ার রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ। শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বালাসন সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে বুধবার সন্ধ্যায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের এক দিক দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়েছে।

দার্জিলিঙে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গত দু’দিনে সেখানে বৃষ্টি হয়েছে ৪০০ মিলিমিটার। অন্য দিকে গত ২৪ ঘণ্টায় কালিম্পঙে ১৯৯, শিলিগুড়িতে ১৯৬ ও জলপাইগুড়িতে ১৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই প্রবল বৃষ্টির ফলেই মাটি আলগা হয়ে ধস নেমেছে বিভিন্ন জায়গায়।

Advertisement

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সোমবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পাহাড়। কালিম্পং এবং গ্যাংটকগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের কোনও কোনও জায়গা তিস্তার জলে ভেসে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের এলাকা ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন আশঙ্কা করছে, এ ভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে আরও অনেক জায়গায় ধস নামতে পারে। দার্জিলিং জেলার ধোতরে, মানেভঞ্জন, রিমবিক, গোক, বিজনবাড়ি এলাকা থেকে ধসের খবর এসেছে। দার্জিলিঙের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম বলেন, ‘‘ছোট ছোট অনেক জায়গায় ধস রয়েছে। কিছু বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে। দার্জিলিঙের দিকে রাস্তা খোলা রয়েছে।’’ প্রশাসন তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

লাগাতার দু’দিনের ভারী বৃষ্টির ফলে কোচবিহারেও বিভিন্ন নদীগুলির জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তীরবর্তী বেশ কিছু এলাকায় জল ঢুকে পড়ায় সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা। তোর্সা নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় সুনসুনি বাজার এলাকায় জল ঢুকে পড়েছে। তোর্সা নদীতে বালি-পাথর তোলার সময় একটি ডাম্পার জলের স্রোতে তলিয়ে গিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ে আটকে থাকা পর্যটকদের জন্য বিশেষ বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা। দার্জিলিং, কালিম্পং, গ্যাংটক, মিরিক, লাভা, লোলেগাঁও প্রভৃতি জায়গায় বহু পর্যটক আটকে রয়েছেন।শুধু রোহিণী হয়ে দার্জিলিং যাওয়ার সড়কপথ খোলা রয়েছে। তাই কোনও পর্যটক কলকাতা ফিরতে চাইলে শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ডে এলে কলকাতা যাওয়ার বিশেষ বাস পেয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়।

টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জও। শহরের দেবীনগর, বীরনগর, উকিলপাড়া, শক্তিনগর, মিলনপাড়া, রবীন্দ্রপল্লি, নেতাজিপল্লি-সহ একাধিক এলাকায় জল জমেছে। জল জমে বিপত্তি এনবিএসটিসি ডিপোতেও। শহরের শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বিদ্রোহী মোড়ও জলমগ্ন। ওই রাস্তা ধরেই রয়েছে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় এবং দমকল কেন্দ্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এই রাস্তা জলের তলায় থাকায় বিপাকে পড়েছেন অনেকেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন