উত্তরের চিঠি

ভিলেজ ট্যুরিজমে জনজীবনের উন্নয়ন

Advertisement
শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৫ ০১:৪৯
Share:

পাহাড়-তরাই-়ডুয়ার্সের বহু গ্রামেই রয়েছে ভিলেজ ট্যুরিজমের সম্ভাবনা। —ফাইল চিত্র।

ভিলেজ ট্যুরিজমে জনজীবনের উন্নয়ন

Advertisement

উত্তরবঙ্গ বললেই চোখের লামনে ভেসে ওঠে গগনচুম্বী পাহাড়, গহন বনরাশি, মেঘ বালিকার নিত্য লুকোচুরি খেলা। উত্তরবঙ্গের খরস্রোতা নদী, দিগন্ত বিস্তৃত চা-বাগিচা, আদিবাসী রমণীদের ‘একটি পাতা দু’টি কুঁড়ি’ জীবন সংগ্রাম, শাল মহুলের দ্বৈরথ উপভোগ করতে বারবার ছুটে আসে কত শত মানুষ। অথচ প্রকৃতি যাদের উদার হস্তে উজাড় করে দিল, তাদের অবস্থা দারিদ্রের ঘন কুয়াশার চাদরে আজ আবৃত্ত। স্থানীয় অধিবাসী, বিশেষত জনজাতি, আজও অনাহার মৃত্যুই তাদের ভবিতব্য। অথচ পর্যটনের প্রভূত প্রসারে উত্তরবঙ্গের তরাই-ডুয়ার্সের অর্থনৈতিক বিকাশ হওয়ার কথা ছিল। আসলে ট্যুরিজমের মাখন তো সব সপাতে চেটেপুটে তুলছে বহুজাতিক সংস্থাগুলি। বাস্তবে পর্যটনের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের জনজীবনকে উন্নত করার প্রয়োজন ছিল স্থানীয় মানুষ কেন্দ্রিক ‘ভিলেজ ট্যুরিজম’। জগন্নাথ বিশ্বাস ও হরিশংকর থাপার দেখানো পথে ইতিমধ্যে গড়ে উঠেছে ডুয়ার্স, মালঙ্গি, জয়ন্তী, বক্সা, ফোর্ড, লেপচাখা, বক্সাবাজার, সদর বাজার, রায়মাটা, আদমা, রাজাভাতখাওয়া প্রভৃতি স্থানে গড়ে উঠেছে বহু ‘ভিলেজ ট্যুরিজম’ কেন্দ্র। আদিবাসী যুবকদের হাতে গড়ে উঠেছে ‘এথনিক ফুড পার্ক।’ সামান্য খরচে পাহাড়ি আদিবাসী যুবকদের সঙ্গে থাকা, খাওয়া ও ভ্রমণের অনন্য নাম এই ভিলেজ ট্যুরিজম। অথচ উপযুক্ত প্রচার ও সাহায্যের অভাবে যার ব্যাপক প্রসার আজও অধরা।

ঝন্টু বড়াইক, অধ্যাপক, পূর্বস্থলী কলেজ, শিলিগুড়ি।

Advertisement

ফিরে চাই একান্নবর্তী পরিবার

এক কালে বাবা-মায়েরা নিজেদের সন্তানদের একান্নবর্তী পারিবারিক স্নেহচ্ছায়ায় ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতেন। সন্তানদের উপরও এর ভাল প্রভাব পড়ত। সঙ্কীর্ণতার নাগপাশ তাদের আচ্ছন্ন করতে পারত না। এর পর শুরু হল একটি বা দু’টি সন্তানের মধ্য দিয়ে পিতামাতার আকাঙ্ক্ষা পূরণের সুউচ্চ মিনার। যার পরিণাম যে সব সময় ভাল হচ্ছে না তা অনেকের ক্ষেত্রেই প্রমাণিত।

আদর্শ পিতামাতার গৌরব অর্জন করতে হলে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। বিলাসী জীবনযাত্রার ছায়া সন্তানদের উপর প্রতিফলিত হলে তা ক্রম প্রসারিত হয়ে একদিন সর্বগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে। আজকাল হচ্ছেও তাই। অতি যত্নের প্রাবল্যে সন্তানদের ল্বীকরণের সাবলীলতা হারিয়ে যায়। ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়ে স্বার্থচিন্তার কুহক জালে। বাবা-মা, পরিবার-পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন এক যান্ত্রিক জীবন তাদের সত্যিকারের ‘মানুষ’ হবার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই বাবা ও মায়েদের সচেতন হতে হবে। সন্তান শুধু তাদেরই নয়, সন্তান সমাজের, আবার রাষ্ট্রেরও। পরিবার যদি শুধু ‘নন্দলাল’ সরবরাহ করে য়ায়, তবে সেই সমাজ বা সেই রাষ্ট্রের মুখ উজ্জ্বল হবে কী করে?

নির্মলকুমার ভট্টাচার্য, নিউটাউন, আলিপুরদুয়ার।

চাই সঠিক সাইনবোর্ড

আমরা মফস্সলের মানুষ কলকাতার স্টেশনে এসে অনেক সময় ভীষণ সমস্যার মধ্যে পড়ি। কারণ মহিলাদের জন্য যে নির্দিষ্ট ট্রেনগুলো থাকে, তার বাইরে ‘শুধু মহিলাদের জন্য’ লেখা না থাকায় আমরা ভুল করে পরিবার নিয়ে সেই কামরায় উঠে পড়ি এবং জরিমানাও দিতে হয়। তাই রেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ, যাতে ট্রেনটির রং বদলে এবং বাইরে ‘মহিলাদের ট্রেন’ লিখে দিলে মনে হয় এই সমস্যাটি থেকে মুক্তি পাবে মফস্সলের যাত্রীরা।

সুদীপ সেন, জলপাইগুড়ি।

নজর দেবেন

আমরা সবাই জানি আজকের যুগে পানীয় জলের গুরুত্ব কতটা। এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে পানীয় জলের অভাব প্রকট। তাই জলের অপচয় বন্ধ করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। কোচবিহার শহরের একটি শতবর্ষ অতিক্রম করে যাওয়া বিদ্যালয় সুনীতি অ্যাকাডেমির মূল ফটকের কাছেই একটি পানীয় জলের কল থেকে অনবরত জল পড়ে অপচয় হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ থেকে এই চিত্র দেখে আসছি। এ বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা কোচবিহার পুর কর্তৃপক্ষ কেউই উদ্যোগী হয়নি। আমার আবেদন, আপনারা এ বিষয়টির দিকে দয়া করে নজর দিন এবং এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করুন।

অন্বেষ চক্রবর্তী, কোচবিহার।

খুলুক ভবন

দীর্ঘ দিন পার হয়ে গিয়েছে। রায়গঞ্জ রবীন্দ্র ভবনের কাজ আজও অসমাপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। সাংস্কৃতিক শহর হিসেবে পরিচিত রায়গঞ্জ আর কত দিন রবীন্দ্র ভবনে সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকবে? রায়গঞ্জের বিধায়ক ও সাংসদের কাছে আমার বিনীত আবেদন, আপনারা যৌথ ভাবে উদ্যোগ নিন। আমরা কি সংস্কৃতির স্বার্থে আপনাদের কাছে এইটুকু সক্রিয়তা আশা করতে পারি না। বিবেচনা করে দেখলে বাধিত হব।

সামিম আখতার বানু, রায়গঞ্জ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন