ফাইল চিত্র।
সবে বর্ষা শুরু হয়েছে। এখনই বিচ্ছিন্ন ভাবে জ্বরের প্রকোপ শুরু হয়েছে শিলিগুড়ি পুর এলাকায়। তাতেই শঙ্কিত শিলিগুড়ির সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের অনেকে। গত বছরেও বর্ষার মাঝামাঝি শহরে ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়ে গিয়েছিল। ম্যালেরিয়া, জাপানি এনসেফেলাইটিসও হয়েছিল। কয়েকটি ওয়ার্ডে মারাত্মক আকার নিয়েছিল পেটের রোগ। এই সবের সঙ্গে শহরের ভাগাড়ের বেহাল দশার যোগ রয়েছে বলে হইচই হয়েছিল।
এক বছর পেরলেও ডাম্পিং গ্রাউন্ডের আবর্জনা প্রক্রিয়াকরণ চালু না হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে নাগরিকদের মধ্যে। তাঁদের দাবি, ডাম্পিং গ্রাউন্ডের বেহাল দশা না ফেরালে শহরে রোগের প্রকোপ ঠেকানো মুশকিল হয়ে যাবে।
শিলিগুড়ি শহরের উপকণ্ঠে যে ভাগাড় রয়েছে তাতে আর জায়গা নেই। প্রায় দু’বছর ধরে সরঞ্জামের অভাবে জঞ্জাল প্রক্রিয়াকরণ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুরসভা। রোজ শতাধিক ট্রাক সেখানে জঞ্জাল ফেলছে। ফলে বর্ষাকালে পরিস্থিতি এতটাই দূষিত হয়ে পড়েছে যে ভাগাড়ের আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের একটি বড় অংশ দিনেও মশা-মাছি এড়াতে মশারি টাঙাতে বাধ্য হচ্ছেন।
সম্প্রতি ওই এলাকারভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন কলকাতার পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখাও করেছেন তিনি। সুভাষবাবুর আশঙ্কা, ‘‘পুরসভায়, রাজ্যে, কেন্দ্রে তিনটি আলাদা দল ক্ষমতায়। জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয় না থাকলে শিলিগুড়ি অচিরেই জঞ্জাল-নগরী হয়ে যাবে।’’ শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের দাবি, তাঁরা বর্ষার কথা মাথায় রেখে ডেঙ্গি ও অন্য রোগের প্রকোপ রুখতে প্রচারে নেমেছেন। জমা জল রুখতে নানা এলাকায় অভিযানও হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘জঞ্জাল প্রক্রিয়াকরণ করতে অনেক টাকা ও সময় লাগবে।’’ পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকারের অভিযোগ, পুরসভার উদাসীনতায় ২০১৭-তে জ্বরের প্রকোপ বেড়েছিল। তাঁর দাবি, ‘‘পুরসভা যখন দায়িত্ব পালন করতে পারছে না, তখন উনি সরে গেলেই পারেন।’’ বর্ষায় আগে শহরের নানা ওয়ার্ডে কাজে নেমেছেন বলে দাবি করেছেন শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তীও।