টানা ৬০ ঘণ্টা কাজ! শুরু চর্চা

স্বাস্থ্য দফতর থেকে যে নির্দেশিকা জেলা প্রশাসন পেয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার রাত আটটা পর্যন্ত ক্যাম্পের চিকিৎসক হিসেবে একটানা দায়িত্বে রাখা হয়েছে অভিষেক দে’কে।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:০১
Share:

ভোটের-পথে: জলপাইগুড়িতে ভোট কেন্দ্রের পথে। নিজস্ব চিত্র

ভোটের জন্য মেডিক্যাল ক্যাম্পে কাজ করতে হবে টানা ৬০ ঘণ্টা। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জলপাইগুড়ির এক চিকিৎসককে। ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আগে ইভিএম নেওয়া এবং ভোট শেষ হওয়ার পরে তা জমা নেওয়ার জন্য জলপাইগুড়িতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে তৈরি হয়েছে অস্থায়ী কেন্দ্র (ডিসিআরসি)। সেখানকার মেডিক্যাল ক্যাম্পের দায়িত্বে রাখা চিকিৎসককেই দেওয়া হয়েছে এমন নির্দেশ।

Advertisement

জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক অভিষেক দে মেডিক্যাল ক্যাম্পের দায়িত্বে রয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতর থেকে যে নির্দেশিকা জেলা প্রশাসন পেয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার রাত আটটা পর্যন্ত ক্যাম্পের চিকিৎসক হিসেবে একটানা দায়িত্বে রাখা হয়েছে অভিষেক দে’কে। অর্থাৎ নির্দেশ অনুযায়ী ওই চিকিৎসককে টানা ৬০ ঘণ্টা ধরে জেগে থেকে পরিষেবা দিতে হবে। যদিও ওই মেডিক্যাল ক্যাম্পের অন্য কর্মীদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দায়িত্বে রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনেরই কয়েকজন পদস্থ কর্তা জানান, এই নির্দেশিকায় তাঁরা বিস্মিত। বিষয়টি তাঁরা নবান্নে জানিয়েছেন বলে জানান তাঁরা। একটানা জেগে কাজ করা সম্ভব হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ওই চিকিৎসক।

বুধবার সকাল থেকেই কয়েক হাজার ভোটকর্মী ওই কেন্দ্রে আসা শুরু করেছেন। সকাল থেকে মেডিক্যাল ক্যাম্পের সামনে অসুস্থ কর্মীদের লাইন থাকলেও চিকিৎসক ছাড়া অন্য কোনও কর্মীকে দেখা যায়নি। দুপুর বারোটা পর্যন্ত প্রেসক্রিপশন লেখার কাগজও ছিল না ক্যাম্পে।

Advertisement

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার বলেছেন, “মেডিক্যাল টিমের গাড়ি কোথা দিয়ে ঢুকবে তা বুঝতে সমস্যা হয়। এত বড় কাজে স্বাভাবিক ভাবেই এমন সমস্যা হয়ে থাকে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement