শুরু হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল

আগামী ১১ এপ্রিল দেশের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফাতেই ভোট হবে আলিপুরদুয়ারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

নির্বাচনের দশদিন আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল শুরু হল আলিপুরদুয়ারে। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছয় ভাগে ভাগ হয়ে জেলার বিভিন্ন জায়গায় টহল শুরু করে। জেলার পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী আলিপুরদুয়ারে আসবে।

Advertisement

আগামী ১১ এপ্রিল দেশের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফাতেই ভোট হবে আলিপুরদুয়ারে। দিন কয়েক আগে, জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাতে দেরি করা হচ্ছে বলে সরব হন জেলার বিরোধী নেতারা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, রাজ্যের অনেক জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নেমে পড়েছে। অথচ, প্রথম দফায় নির্বাচন থাকা সত্ত্বেও আলিপুরদুয়ারে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাতে টালবাহানা করা হচ্ছে।

তবে শেষ পর্যন্ত সোমবার সন্ধ্যাতেই দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসে আলিপুরদুয়ারে। এর মধ্যে এক কোম্পানি বিএসএফ আলিপুরদুয়ারে ও এক কোম্পানি সিআরপিএফ জওয়ানরা আসেন জয়গাঁতে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিএসএফ-এর একটি সেকশন আলিপুরদুয়ার শহরে টহল শুরু করে। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের বাস স্ট্যান্ডের সামনে থেকে শুরু হওয়া ওই টহলের নেতৃত্ব দেন খোদ জেলাশাসক শুভাঞ্জন দাস ও পুলিশ সুপার সুনীল যাদব। শহরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দেন বাহিনীর জওয়ানরা। শহরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের টহল দেখে অনেক জায়গাতেই রাস্তার ধারে কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমে যায়।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

পুলিশ সুপার বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর দু’টি কোম্পানীতে মোট ছয়টি সেকশন রয়েছে। এদিন সকাল থেকেই একেকটি সেকশন জেলার বিভিন্ন জায়গায় টহল শুরু করেছে। এখন প্রতিদিন জেলার নান জায়গায় এমন টহল চলবে। নির্বাচনের আগে জেলায় আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে।”

তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও তা নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে তরজা অবশ্য এখনও অব্যাহত। বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, “তৃণমূল নেতাদের কথা শুনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলের জায়গা ঠিক করলে হবে না। যেসব এলাকা অশান্ত সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়মিত টহল দেওয়ার কাজে লাগাতে হবে।”

উত্তরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, “রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন এখন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে রয়েছে। আর কেন্দ্রের ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। তারপরও বিজেপি নেতাদের এধরনের মন্তব্য শুনলে মানুষ হাসবে। আসলে ওঁরা নিজেরা আইন মানেন না তো, সে জন্য সবাইকে ওঁদের মতোই ভাবেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন