ফের বিবাদ যুব-মূলের

লোকসভা ভোটের আগে ফের যুব ও মূল তৃণমূলের দ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠল দিনহাটায়। বুধবার রাতে দিনহাটার ওকরাবাড়ি পঞ্চায়েতে যুব সমর্থিত নির্দল পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি লক্ষ করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ ওঠে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

  দিনহাটা শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৯ ০৪:১০
Share:

ভাঙচুর: দিনহাটার ওকরাবাড়িতে। নিজস্ব চিত্র

লোকসভা ভোটের আগে ফের যুব ও মূল তৃণমূলের দ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠল দিনহাটায়। বুধবার রাতে দিনহাটার ওকরাবাড়ি পঞ্চায়েতে যুব সমর্থিত নির্দল পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি লক্ষ করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। মূল তৃণমূলের একদল কর্মীই হামলা চালায় বলে প্রধানের দাবি। তৃণমূল অবশ্য দাবি করেছে, ওই ঘটনার সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই। কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”

Advertisement

যুব তৃণমূলের সমর্থনে জয়ী পঞ্চায়েতের নির্দল প্রধান রেহেনা খাতুন বিবি ও তাঁর স্বামী হাসানুর জামান অভিযোগ করেন, গ্রাম বোর্ড গঠন হওয়ার পর থেকেই উন্নয়নমূলক কাজে বাধা সৃষ্টি করছিল তৃণমূল। বুধবার এলাকায় কয়েকটি রাস্তার কাজ শুরু হলে সেই কাজ নিম্নমানের বলে অভিযোগ তুলে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা বাধা দেন বলে তাঁদের দাবি। তাঁরা জানান, রাতে দিনহাটা শহর থেকে ওকড়াবাড়িতে বাড়ি ফিরছিলেন হাসানুর। তখন তৃণমূলের ওই কর্মীরা তাঁর পিছু ধাওয়া করে তাঁকে হেনস্থার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। রাতে ৩০-৩৫ জন তৃণমূল কর্মীর একটি দল বেশ কয়েকটি বাইকে চেপে এসে বাড়ি ভাঙচুর শুরু করে বলে অভিযোগ। পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলেও অভিযোগ। হাসানুর বলেন, “আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। গোটা ঘটনা পুলিশকে লিখিত ভাবে জানানো হচ্ছে।”

তৃণমূলকর্মীদেরই একাংশের দাবি, বুধবার রাতে হাসানুরের সঙ্গে মূল তৃণমূলের হয়ে জয়ী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মানু মিয়াঁর বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের আর্থিক লেনদেন নিয়ে বচসা শুরু হয়। দুই গোষ্ঠীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। কয়েক রাউন্ড গুলিও চলে বলে অভিযোগ। মানু মিয়াঁ অবশ্য বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের কাজে নানা দুর্নীতি হচ্ছে। তা নিয়ে বুধবার প্রতিবাদ করি। তাতেই আমার উপরে হামলা হয়। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে কোনও হামলা হয়নি। মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, “ওই ঘটনা ব্যক্তিগত কোন্দলের জের। পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।” সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। পঞ্চায়েতের ক্ষমতা যাদের হাতে রয়েছে তাঁদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের হতে পারে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন