পাশে: চাঁচলে আহতদের সঙ্গে দেখা করলেন ইশা। নিজস্ব চিত্র
অভিনেত্রী নাগমার সভায় শনিবার চড়াও হয়ে গন্ডগোল পাকানো। রবিবার চাঁচলে দলীয় সভায় চড়াও হয়ে ভাঙচুর। শাসক দলের বিরুদ্ধে একের পর এক সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে প্রথমে প্রচার বন্ধ। পরে পথে নেমে বিক্ষোভে সামিল হলেন উত্তর মালদহের কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী। সোমবার চাঁচলে মহকুমাশাসকের সঙ্গে দেখা করে তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে কার্যত হুমকি দিলেন তিনি। এদিকে, রবিবার রাতেই মালদহের বামনগোলা থানার উত্তর চন্দ্রাইল গ্রামে কংগ্রেসের বুথ সভাপতি খইবুর রহমানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
মহকুমাশাসক সব্যসাচী রায়কে এ দিন ইশা জানান, এতদিন তিনি অনেক কিছু সহ্য করেছেন। তাঁর হুঁশিয়ারি, এর পরেও প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করে, তাহলে কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না। বাসিন্দারা যদি শাসক দলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, গন্ডগোল পাকান, তাহলে তার দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ প্রশাসন অবশ্য অস্বীকার করেছে। মহকুমাশাসক সব্যসাচী রায় এ দিন বলেন, ‘‘প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ঠিক নয়। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ভাবে হয় সেজন্য কমিশন সবরকম পদক্ষেপ করছে।’’
জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, ‘‘প্রশাসন এখানে শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। আমরা কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি। তবে প্রশাসন যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরাও চুপ করে বসে থাকব না।’’ যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, চাঁচলের ঘটনায় দুপক্ষের দুজন করে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। বাকিদেরও ধরা হবে। জেলা তৃণমূল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন অবশ্য বলেন, ‘‘কংগ্রেসের সঙ্গে মানুষ নেই। সেটা বুঝতে পেরে ওরা শাসক দলকে জড়িয়ে একের পর এক ভিত্তিহীন অভিযোগ করে চলেছে।’’
অন্যদিকে, কংগ্রেসের বুথ সভাপতি খইবুর রহমানের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বামনগোলা থানার উত্তর চন্দ্রাইল গ্রামে। রবিবার গভীর রাতে ওই ঘটনায় জখম হয়েছে চারটি গরু। পুড়ে গিয়েছে একটি মোটরবাইকও। তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই খইবুরের বাড়িতে আগুন ধরায় বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। সোমবার দুপুরে বামনগোলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন খইবুর। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইশা বলেন, “বামনগোলা ব্লকে আমাদের এক কর্মীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। রতুয়া, চাঁচলেও আমাদের কর্মীদের উপরে হামলা চালানো হয়। ঘটনার পিছনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা যুক্ত রয়েছে।”