পরিদর্শন: রাসমেলার মাঠে তৃণমূলের মঞ্চের প্রস্তুতি দেখতে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
রাসমেলার ময়দানে রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সভা করার সময় পাশেই ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভামঞ্চটিও। ওই মঞ্চে আজ, সোমবার সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। কয়েক দিন ধরেই এই মঞ্চ নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর চলছে। মোদী বক্তৃতার মধ্যে সেই প্রসঙ্গ টেনে মন্তব্য করেন, ‘‘বাচ্চাদের মতো আচরণ করছেন দিদি।’’ মোদীর দাবি, বিজেপি সমর্থকেরা যাতে মাঠ ভরাতে না পারেন, সে জন্য তাঁর সভার দিনও ওই মঞ্চ বেঁধে রেখে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপি-ই আচমকা সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠের দখল নিতে চেয়েছে। তৃণমূলের বক্তব্য, রাজনৈতিক সৌজন্য দেখিয়ে তাঁরাই প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য জায়গা ছেড়েছেন, অথচ মোদী তাঁদেরই আক্রমণ করলেন।
বিজেপির বক্তব্য, তৃণমূলের সভামঞ্চ এবং তার সামনের ছাউনির জন্য মোদীর সভার প্রস্তুতির সময় মিলেছে খুব কম। শনিবার মোদীর সভামঞ্চের কাজ শুরু হয়। এ দিন সকালে সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে মোদী বলেন, “পাড়ার ছোট বাচ্চারা ঝগড়া হলে বলে আমার এলাকায় গেলে দেখে নেব। দিদি ও তাঁর গোলামেরা এই যে নাটক করেছেন, সেটা গণতন্ত্রের তিরস্কার।” সভামঞ্চের কাছে একটি দেওয়ালে উঠে বসেছিলেন এক ব্যক্তি। মোদী তাঁকে বলেন, “আপনি নীচে নেমে আসুন। আপনি পড়ে গেলে আবার দিদি আমার বিরুদ্ধে এফআইআর করবেন।” মোদীর অভিযোগ, “আপনাদের এখানে আসতে না দেওয়ার সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এই জনসভাতেই তা প্রমাণ হয়েছে।”
বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি, তারাই ৫, ৬ ও ৮ এপ্রিল ওই মাঠ ব্যবহারের অনুমতি নিয়েছিল। মঞ্চের কাজও শুরু হয়। বিজেপি মাঝে শুধু ৭ এপ্রিল রবিবার ফাঁকা পেয়ে মোদীর সভা করতে উদ্যোগী হয়। তারপরেও রাজনৈতিক সৌজন্য দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সভার মঞ্চের ছাউনির একাংশ খুলে দেওয়া হয়। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “সৌজন্য দেখাতে গিয়ে আমাদের সমস্যা হল। তড়িঘড়ি মঞ্চ করতে হচ্ছে। বেশ কিছু বাঁশ ওরা ভেঙে ফেলেছে। মাঠ সাফাইও বিজেপি করেনি।” বিজেপি অবশ্য সেই দাবি অস্বীকার করেছে।