ভোটের মুখে ফের গুলি কোচবিহারে

জেলায় বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের রমরমার অভিযোগ ফের সামনে এসে পড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৯ ০৮:১২
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রথম দফার লোকসভা ভোট আর এক মাসও দূরে নয়। বেড়েছে পুলিশের তৎপরতা। তার মধ্যেই কোচবিহার শহর লাগোয়া ডাউয়াগুড়িতে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ছাত্রের মৃত্যু হল। তার পরেই জেলায় বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের রমরমার অভিযোগ ফের সামনে এসে পড়েছে।

Advertisement

পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে অভিযান জারি রয়েছে। গত দুই মাসে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ৬০টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে টহলদারির সময় মাথাভাঙা থানার কলেজ মোড় এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম আনন্দ দাস। তাঁর বাড়ি মাথাভাঙার ছাটখাটেরবাড়িতে। একই রাতে পুণ্ডিবাড়ি থানার টাকাগছ এলাকা থেকে জমির আলি নামে আরও এক যুবককে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাচক্রে ওই রাতেই ডাউয়াগুড়ির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার ঘোকসাডাঙা থানা এলাকা থেকেও নাকা তল্লাশির সময় রাহুল হক নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার কাছে একটি আধুনিক পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত বলেন, “ গত দুমাসে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারও রয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে। ডাউয়াগুড়ির ঘটনাতেও ইতিমধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার হয়েছে।” পুলিশের বক্তব্যেও অবশ্য পুরোপুরি আশ্বস্ত নন বিরোধী দলের নেতাদের অনেকেই।

বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি মালতি রাভা বলেন, “বামেদের আমলেও দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য ছিল। তৃণমূল আমলে তা বেড়েছে। এমনকি কোচবিহার বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের ভাণ্ডারে পরিণত হয়েছে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, “আমাদের আমলে এরকম অবস্থা ছিলনা। এমন দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য থাকলে সুষ্ঠু ভোট হবে কী করে।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল চৌধুরী বলেন, “গ্রামেগঞ্জে প্রচুর অস্ত্র রয়েছে তা স্পষ্ট। সে সব উদ্ধার করতে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগ চাই।”

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বিরোধীদের অভিযোগ, কোচবিহার শহর থেকে ডাউয়াগুড়ির দূরত্ব বড় জোর ৮ কিমি। সেখানে যদি ভোটের মুখে পুলিশের তৎপরতার মধ্যে এমন ঘটনায় স্পষ্ট প্রত্যন্ত এলাকার পরিস্থিতি আরও উদ্বেগের। তৃণমূল অবশ্য বিরোধীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “বিজেপি সহ বিরোধীদের কিছু লোক জন দুষ্কৃতীদের মদত দিচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করছে। তাতেই সব কিছু স্পষ্ট হবে।” দিনহাটাতেও গত কয়েক মাসে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, “পুলিশ ঠিক মতো কাজ করায় তা সম্ভব হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন