বৈঠক কলকাতায়। নিজস্ব চিত্র
বিজেপির অমিত শাহের সভার পর মালদহের সেই মাঠেই পাল্টা সভা করেছিল তৃণমূল। ঠিক একই কায়দায় কংগ্রেসের রাহুল গাঁধীর সভার পর সেই মাঠেই পাল্টা সভা করবে তৃণমূল।
আগামী ২৩ মার্চ চাঁচলের কলমবাগান মাঠে জনসভা করার কথা রাহুল গাঁধীর। এর দু’দিনের মাথাতেই ২৫ তারিখ ওই মাঠেই জনসভা করবেন তৃণমূলের মালদহ জেলার পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল সূত্রের খবর, বুধবার বিকেলে কলকাতায় শুভেন্দুর সঙ্গে মালদহ জেলার দলীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে, ওই ২৫ তারিখেই বিকেলে দক্ষিণ মালদহ লোকসভা এলাকার বৈষ্ণবনগরে আরও একটি কর্মিসভা করবেন শুভেন্দু। শুধু তাই নয়, রাহুলের সভায় কৌতূহলবশতও যেন কোনও দলীয় কর্মী-সমর্থক না যান, সেজন্য সেই ২৩ মার্চ জেলার সমস্ত অঞ্চলে কর্মিসভা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুর তরফে। জানা গিয়েছে, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ১৮ ও ১৯ মার্চ— দু’দিন মালদহে থাকছেন শুভেন্দু। ১৮ তারিখ বিকেলে জেলার দলীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা নেতৃত্বদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক করবেন। পরদিন কালিয়াচকের কারবালা মাঠে একটি কর্মিসভা হবে।
২২ জানুয়ারি পুরাতন মালদহ ব্লকের নিত্যানন্দপুরে জনসভা করেছিলেন বিজেপির অমিত শাহ। ঠিক সাতদিন পর, ৩০ তারিখ ওই একই মাঠে পাল্টা জনসভা করে তৃণমূল। সেই সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন শুভেন্দু। তৃণমূলের দাবি, লোকসংখ্যার ভিড়ে সেই সভা অমিতের সভাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। বিজেপি অবশ্য তা মানতে নারাজ। এদিকে, রাহুল আগামী ২৩ মার্চ সভা করতে আসছেন চাঁচলের কলমবাগান মাঠে। সেই সভাকে সফল করতে কংগ্রেস ইতিমধ্যে উঠে পড়ে লেগেছে। বিজেপির সভার মতো, রাহুলের সভারও পাল্টা জনসভা করার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কলকাতায় মালদহ জেলার দলীয় নেতাদের নিয়ে শুভেন্দুর বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলের জেলা সভাপতি তথা দক্ষিণ মালদহের তৃণমূল প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘‘২৫ মার্চ চাঁচলের কলমবাগান মাঠে উত্তর মালদহ লোকসভার দলীয় প্রার্থী মৌসম নুরের সমর্থনে এলাকার দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে একটি জনসভা হবে। প্রধান বক্তা শুভেন্দুবাবু নিজেই। সে দিনই বিকেলে দক্ষিণ মালদহ লোকসভার কর্মীদের নিয়ে আরও একটি জনসভা হবে বৈষ্ণবনগরে। সেখানেও প্রধান বক্তা শুভেন্দুবাবু।’’